এবারও বৃথা যায়নি স্যামি-ঝড়

আপডেট:  

.জয়ের পর দলের সবাইকে নিয়ে মাঝ উইকেটের পাশে ছোট্ট একটা সভা করে নিলেন ড্যারেন স্যামি। হয়তো সতীর্থদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসটা বৃথা না যাওয়ায়। যে ব্যাটিং করেছেন, অধিনায়কের জন্যই জেতা দরকার ছিল রাজশাহী কিংসের। তারা তা পেরেছেও। খুলনা টাইটানসকে ৯ রানে হারিয়ে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রাজশাহী।

রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৮ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন দলকে। কাল খুলনার সঙ্গে স্যামির তাণ্ডবের মাত্রাটা হলো আরও বেশি। ৩৪ বলে ৭১ রান। চার ৪টি আর ছক্কা ৫টি। বেশির ভাগ ছক্কা বেষ্টনী পেরিয়ে গিয়ে পড়েছে গ্যালারিতে। পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান তোলা রাজশাহী শেষ ৪ ওভারে তুলেছে ৫৮। এর মধ্যে স্যামিরই ৫৩।

ফরহাদ রেজার সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৫ বলে ২৮ ও আবুল হাসানের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ১৫ বলে ৩৮ রান যোগ করেছেন স্যামি। স্যামি-ঝড়ে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছেন শফিউল ইসলাম। খুলনার এই পেসারের ১২ বলে রাজশাহী অধিনায়ক তুলেছেন ৩৮ রান। পাঁচ ছক্কার চারটিই শফিউলের বলে।

খুলনার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা কাল দেখা গেছে আরও একবার। ওপেনার রিকি ওয়েসেলস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আশা জাগিয়েও পারেননি। দুজনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় ৪৭ রান। স্যামির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ওয়েসেলসের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৬ রান। ফরহাদ রেজার শেষ ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। সমীকরণটা শেষ পর্যন্ত মেলাতে পারেনি মাহমুদউল্লাহর দল।
সংক্ষিপ্তস্কোর
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৫৪/৮ (মুমিনুল ১২, জুনায়েদ ২১, সাব্বির ১৬, প্যাটেল ১৬, উমর ৯, স্যামি ৭১*, মিরাজ ১, ফরহাদ ৩, আবুল ৩; শুভাগত ০/৫, মাহমুদউল্লাহ ১/৭, জুনায়েদ ০/২৫, কুপার ২/৩১, শফিউল ২/৫৩, মোশাররফ ১/২৫, তাইবুর ০/৭)। খুলনা টাইটানস: ২০ ওভারে (ওয়েসেলস ৩৬, হাসানুজ্জামান ১, শুভাগত ২, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, পুরান ২৮, আরিফুল, কুপার ১৪, তাইবুর; নাজমুল ১/১৭, সামি ১/৩২, প্যাটেল ০/১৮, আবুল ১/২৫, স্যামি ১/৮, মিরাজ ১/২৭, ফরহাদ ০/১২)। ফল: রাজশাহী ৯ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ড্যারেন স্যামি।

Comments

Post a Comment

Thanks for you comment