আপডেট: ০৫:২৭, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
বরিশাল বুলসের ইনিংসের নবম ওভার থেকেই উত্তেজনা। বরিশাল কি পারবে? না, জয়-পরাজয় নিয়ে নয়; সেই উত্তেজনার সমাপ্তি নবম ওভারের প্রথম বলেই। তখন আগ্রহ কেবল ‘৪৪’ সংখ্যাটা নিয়ে। বরিশাল পারবে ৪৪ পেরোতে! এবারের বিপিএলে এই ‘৪৪’ যে একটা কালো দাগ হয়ে আছে, খুলনা টাইটানসের সৌজন্যে।
সেটা বরিশাল ভালোমতোই পেরোল। অলআউট হলো ১০৭ রানে। কিন্তু ওটুকুই সান্ত্বনা। চিটাগং ভাইকিংসের কাছে ৭৮ রানে হেরেছে, বিপিএলে যেটি রানের দিক দিয়ে চতুর্থ বৃহত্তম পরাজয়।
শেষটা এর চেয়ে ভালো হতে পারত না চট্টগ্রাম পর্বের। ছয় দিন ধরে বিপিএল নিয়ে যে উন্মাদনা দেখিয়েছে চট্টগ্রামের মানুষ, সেটার প্রতিদান দিয়েছে তামিম ইকবালের দল। হার দিয়ে শুরু হলেও টানা তিন জয়ে চট্টগ্রাম পর্বের সমাপ্তি টেনে ঢাকায় ফিরছে তারা।
অথচ ম্যাচের প্রথম ওভারে ছিল অন্য রকম এক বার্তাই। তাইজুল যখন মাত্র ১ রান দিয়ে শুরু করলেন। তার পরের ৩ ওভারে ৩৭ রান নিয়ে দ্রুতই সেটা ভুলিয়ে দিয়েছেন ডোয়াইন স্মিথ। এতেই দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে চট্টগ্রাম। ৬ চার ও ৩ ছক্কার ডোয়াইন-ঝড়টা থামল ৬৯ রানে। এরপরই শুরু হলো ‘মালিক-টর্নেডো’। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৩০ বলে ৬৩ রান করেছেন শোয়েব মালিক। শেষ ৩ ওভারে ৪৭ রান তুলে চট্টগ্রামের ইনিংস থামল ১৮৫-তে।
চট্টগ্রামের আগের তিন ম্যাচেই জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নবী ব্যাটিংয়ে ৪ রান করার দুঃখ ভুললেন নিজের প্রথম বলে। ডেভিড ম্যালানকে বোল্ড করে ধসের শুরুটা করলেন, সেটা থামলই না! প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নবীর। শুভাশিস রায় ও তাসকিন আহমেদও তাতে যোগ দিলে ৮.১ ওভারে ৩৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল। ম্যাচ আসলে ওখানেই শেষ।
অভিষিক্ত এনামুল আটে নেমে ৪২ রানের যে ইনিংসটা খেললেন, তাতে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের ছয়জন মিলে ১৭ তোলার লজ্জাটা আরও প্রকটই হলো।
মুশফিক অবশ্য ম্যাচ শেষে ঠিকঠাক ওষুধগুলোই বাতলে দিলেন সংবাদ সম্মেলনে—ক্যাচ ফেলা যাবে না। প্রথম ৬ ওভারের পূর্ণ সুবিধা নিতে হবে। বোলারদের হতে হবে আরও ধারাবাহিক।
অধিনায়কের ব্যবস্থাপত্র বাকিদের মানতে হবে। না হলে বরিশাল আরও সংকটে পড়ে যাবে। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট যে মাত্র ৬।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment