আপডেট: 

‘উত্তেজনাপূর্ণ’—ছেলের জোড়া গোলের পর গর্বিত বাবার টুইট l টুইটার‘উত্তেজনাপূর্ণ’—ছেলের জোড়া গোলের পর গর্বিত বাবার টুইট l টুইটার
৬০৮৪ দিন!

ঠিক ৬০৮৪ দিন লাগল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে। পরশু জুভেন্টাসের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন জিওভান্নি সিমিওনে। নামটি পরিচিত ঠেকছে? ঠিকই ধরেছেন, এই জিওভান্নি সাবেক আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ও বর্তমান অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনের ছেলে। জিওভান্নির জোড়া গোলে ঘরের মাঠে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে জেনোয়া।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির বিষয়টি বুঝতে হলে, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচের টুইটার পেজে যেতে হবে। জোড়া লাগানো দুটি ছবি, প্রায় একই ভঙ্গিতে গোল উদ্‌যাপন করছেন বাবা-ছেলে। ডিয়েগোর ঘটনাটি সেই ২০০০ সালে। লাৎসিওতে নিজের প্রথম মৌসুমে জুভেন্টাসের মাঠে গিয়ে একমাত্র গোলে দলকে জিতিয়েছেন ডিয়েগো। ওই একটি গোলেই সেবার নির্ধারিত হয়েছিল সিরি ‘আ’ শিরোপা। এরপর আর সিরি ‘আ’ শিরোপা জেতা হয়নি লাৎ​সিওর।
১ এপ্রিলের সে গোলের পর কেটে গেছে বহুদিন। বুটজোড়া তুলে রেখে ডিয়েগো এখন বিশ্বসেরা কোচদের একজন। বাবার মতোই সিরি ‘আ’ দিয়ে ইউরোপিয়ান ফুটবলে পা রেখেছেন জিওভান্নি। জেনোয়ার হয়ে ১১ ম্যাচে ৪ গোলও করেছেন এ মৌসুমে। তবু জুভেন্টাস ম্যাচ দিয়েই যেন সবার খেয়াল হলো, বিখ্যাত বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসছেন জিওভান্নি। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সেটি বললেনও, ‘আমি জানতাম, আজ অন্তত বাবা ছাড়া অন্য কোনো কারণে আমার সাক্ষাৎকার নেবেন!’
মূল স্ট্রাইকার লিওনার্দো পাভোলেত্তি চোটে না পড়লে পরশু হয়তো খেলাই হতো না। আর সুযোগ পেয়েই ১৩ মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল! তবে জিওভান্নি নাকি আগেই তা জানতেন, ‘বাবা বলছিলেন, জুভেন্টাসের বিপক্ষে তিনি গোল করেছিলেন। এটা আমাদের রক্তেই আছে, আমিও করব!’
সেটা করেছেন জিওভান্নি। তাঁর দলও পেরেছে জুভেন্টাসকে এ মৌসুমের সবচেয়ে বড় পরাজয় উপহার দিতে। জুভেন্টাসের বিপক্ষে গোল করে বাবাকে ছুঁতে পেরেই দারুণ খুশি এই স্ট্রাইকার, ‘বাবার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে, এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা দিন।’ শুধু পরশু নয়, সব সময়ই বাবার কাছেই অনুপ্রেরণা খোঁজেন জিওভান্নি, ‘যেকোনো ম্যাচের আগেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়। শুধু ফুটবল না, সবকিছু নিয়ে।’
বাবার অনুপ্রেরণা ও নিজের চেষ্টাতেই আর্জেন্টিনা দলে জায়গা করে নিতে চান ২১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার, ‘আমি সবকিছুর জন্য প্রস্তুত।’ এভাবে খেলতে থাকলে সে স্বপ্নটা পূরণ হতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয় সিমিওনে জুনিয়রের। এএফপি, ফুটবল ইতালিয়া।

Comments