- Get link
- X
- Other Apps
প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুই কর্মী আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
RELATED STORIES
- প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ৯ জনকে আসামি করে মামলা
- প্রধানমন্ত্রীর বিমানে গোলযোগ: মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন জমা
- বিমানের স্ক্রু ঢিলা মানুষের কারণেই হয়েছে: হাসিনা
- প্রধানমন্ত্রীর বিমানে সঙ্কট ‘মানবসৃষ্ট কারণে’
বিমানের জুনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও প্রকৌশলী কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে প্রসিকিউশন পুলিশের সহকারী কমিশনার মিরাশ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
দুই আসামির আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন জামিন শুনানিতে বলেন, “কোনো নাশকতার জন্য এটা করা হয়নি, বিমানের ইঞ্জিনের ত্রুটিতে এদের কোনো দায় নেই। আইনকে শ্রদ্ধা করি বলেই আমার মক্কেলরা আত্মসমর্পণ করেছে। আমার মক্কেলদের জামিন চাই।”
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে।
এর পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে বিমান মন্ত্রণালয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তিনটি তদন্ত কমিটি করে।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ঘটনার তিন দিনের মাথায় ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আরও তিন প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত হন।
এরপর মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বরখাস্ত নয়জনকে আসামি করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(গ) ধারায় মামলা করেন বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এস এম আসাদুজ্জামান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিভাগীয় তদন্তে ওই নয়জনের বিরুদ্ধে “পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যন্ত্রপাতি নিয়া অবহেলামূলক আচরণ করতঃ অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করার” প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলার দুই দিনের মাথায় বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরা হলেন - বিমানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) এস এ সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য প্রকৌশলী (এনসিসি) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, সামিউল হক, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment