বান্দরবানে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

বান্দরবান জেলা শহরে মারমা এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতে সদর থানায় মামলা হয়েছে। এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রী (১৭) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। গতকাল রোববার বান্দরবান সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরে বিচারিক হাকিমের আদালতে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। হাসপাতাল ও আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলার রুমা উপজেলার এক ছাত্রী গত শুক্রবার রাজপুণ্যাহ মেলায় এসেছিল। জেলার আলীকদম উপজেলার এক বন্ধুকে (১৮) সঙ্গে নিয়ে মেয়েটি রাত ১১টার দিকে হেঁটে বালাঘাটার দিকে যাচ্ছিল। রোয়াংছড়ি স্টেশনের আগে প্রস্তাবিত শিশুপার্ক এলাকায় তিনজন যুবক তাদের গতিরোধ করে। পরে কাজল নামের আরেকজনকে মুঠোফোনে ডেকে আনে ওই যুবকেরা। যুবকের দল ছাত্রীর বন্ধুর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে আটকে রেখে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে।
জানতে চাইলে মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক উসিনু মারমা প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটি ও তার বন্ধু মুঠোফোনে তাদের বিপদের কথা রাতেই জানিয়েছিল। কিন্তু দুজনই জেলা শহরে নতুন। এ কারণে তাদের অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। পরে দুর্বৃত্তরা মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর আবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের প্রস্তাবিত শিশুপার্ক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিক উল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতেই শহরের বালাঘাটায় অভিযান চালিয়ে কাজল বড়ুয়া ওরফে মুণ্ডী কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজল ধর্ষণের এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্য তিন যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।