- Get link
- X
- Other Apps
ঘটনার প্রায় দুই মাস পরও ধকল কাটেনি ধর্ষণের শিকার দিনাজপুরের পাঁচ বছরের শিশুটির। শিশুটি এখনো একা হাঁটতে পারে না। প্রস্রাবও ধরে রাখতে পারছে না। তার ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড বসবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী বিলকিস বেগম বলেন, ‘শিশুটি আগে তো একদমই হাঁটতে পারত না। এখন দুজন ধরলে হাঁটতে পারে। প্রস্রাবটা এখন পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে না। আর অস্ত্রোপচার লাগবে কি না, বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। এখন একটু একটু করে ঘটনার কথা বলছে। তবে ওর ভয়টা অনেক কমেছে। হাসে, কথা বলে।’
গত ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির প্রজননঅঙ্গে অস্ত্রোপচার হয়। শিশুটিকে খুব জটিল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আজ বুধবার সকালে অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটা হয়েছে।
শিশুটির বাবা আজ সকালে ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেয়ে তো একলা হাঁটতে পারে না। তবে ভয়টা একটু কমছে। আগে তো কথা বলত না, এখন সাইফুলের নাম বলে। মুখ বাইন্ধা কোন জায়গা থেকে ওরে ধরছিল তা বলে, কিন্তু বাকি কী করছে, আর বলতে পারে না। পুলিশ আরেক আসামিরে তো ধরল না। বলছে, আমার মেয়ের মুখ থেইক্যা কথা শুইন্যা পরে ব্যবস্থা নিব। আমি তো আর আইন-কানুন কিছু বুঝি না।’
গত ১৮ অক্টোবর শিশুটি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সেদিন তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন ভোরে শিশুটিকে তার বাড়ির কাছে হলুদখেতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে শিশুটি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে। শিশুটির প্রজননঅঙ্গ, মাথা, গলা, হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঊরুতে সিগারেটের ছ্যাঁকার ক্ষত ছিল।
ঘটনার পর শিশুটির বাবা ২০ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করা হয়েছে। সাইফুলকে গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে আরেক আসামি আফজাল পলাতক।
ঘটনার পর রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment