চট্টগ্রামে চারটি লাইটার জাহাজডুবি

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর, সন্দ্বীপ চ্যানেলসহ চার জায়গায় চারটি পণ্যবাহী লাইটার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটার মধ্যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

জাহাজডুবির ঘটনায় দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে সন্দ্বীপ চ্যানেলের কাছে ডারিন ডারসাব নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। জাহাজটি দুই হাজার টনের মতো অপরিশোধিত চিনি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। কুয়াশার কারণে জাহাজটি একটি চরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আংশিক ডুবে যায়। এদিকে সকাল পৌনে সাতটার দিকে সন্দ্বীপ চ্যানেলে গ্লোরি অব শ্রীনগর-৪ নামের আরেকটি জাহাজ ডুবে গেছে। দেড় হাজার টনের বেশি ভুট্টা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে টিটো-৪ নামের আরেকটি জাহাজের ধাক্কায় শ্রীনগর-৪ জাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল সূত্র আরও জানায়, এমভি মজনু নামের একটি লাইটার জাহাজ বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে টিএসপি সার কারখানার প্রায় ১ হাজার ৮০০ টন সারের কাঁচামাল খালাস করে। পণ্য খালাসের সময় কাত হয়ে লাইটার জাহাজটিতে পানি ঢুকতে শুরু করে। ওই অবস্থায় জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আনার চেষ্টা করেন জাহাজটির ক্রুরা। সকাল পৌনে সাতটার দিকে পতেঙ্গার কাছাকাছি গিয়ে একটি চরে আটকে গিয়ে জাহাজটি আংশিক ডুবে যায়। এদিকে, ল্যাবস-১ নামের অপর জাহাজটি ১ হাজার ৫০ টন সিমেন্টের ক্লিনকার নিয়ে বন্দরের বহির্নোঙর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। কর্ণফুলীর মোহনায় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে জাহাজটি ঘোরানোর সময় কাত হয়ে ডুবে যায়।

বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আতাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, গ্লোরি অব শ্রীনগর-৪ জাহাজটির দুজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে। বাকি জাহাজগুলোর নাবিক ও শ্রমিকেরা নিরাপদে আছেন।

Comments