- Get link
- X
- Other Apps
Published:
চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা থেকে কয়েকশ মিটার দূরে দিনে দুপুরে এক যুবককে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল পোস্ট অফিসের উল্টো দিকের রাস্তায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ জানান।
নিহত মো. ইব্রাহিম মানিক (৩২) নগরীর সদরঘাট থানার দারোগাহাট বাইলেইনের বাসিন্দা আবু হানিফের ছেলে। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ছিলেন বলে পরিবারের ভাষ্য।
হত্যাকাণ্ডের পর মোহাম্মদ রানা (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রানার সঙ্গে মানিকের বিরোধ ছিল বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
যেখানে মানিককে খুন করা হয় সেখান থেকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেট মোড়ের দূরত্ব একশ গজেরও কম। ব্যস্ত সড়কের এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানিককে গুলি করে ‘ঘাতকরা’ পালিয়ে যায় বলে পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ জানান।
নিহত মো. ইব্রাহিম প্রত্যক্ষদর্শী এক কলা বিক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনজন যুবক অপর এক যুবককে গুলি করলে পথচারীদের মধ্যে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়। এরই মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
ওই কলা বিক্রেতা জানিয়েছেন, অস্ত্রধারীদের একজনকে তিনি কোতোয়ালি মোড়ের দিকে এবং বাকি দুজনকে কালীবাড়ি মোড়ের দিকে হেঁটে যেতে দেখেছেন।
গুলির ঘটনার পরপরই ওই এলাকা থেকে রানাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রানাও দারোগাহাট এলাকার বাসিন্দা।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রানার প্যান্টে রক্তের দাগ ছিল। প্রথমে ভেবেছিলাম সেও ভিকটিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে, তার মামার দোকান ভাড়া নিয়ে মানিকের সঙ্গে বিরোধ ছিল।”
কোতোয়ালি থানার ওসি জসীম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সদরঘাট এলাকায় রানার মামার দোকান ভাড়া নিয়েছিলেন মানিক। সেই দোকানের ভাড়া নিয়ে রানার লোকজনের সঙ্গে মানিকের পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছিল। সে সময় রানাকে আসামি করে মানিক মামলাও করেছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রানা ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ দিচ্ছেন মন্তব্য করে ওসি বলেন, “রানা বলেছে, সে মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যাওয়ার পথে মেমন হাসপাতালের সামনে মানিক তাকে ধাওয়া করেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখিছি।”
সে সময় রানার সঙ্গে সুমন ও কালা নামে আরও দুইজন এবং মানিকের সঙ্গে আল-আমীন ও রফিক নামে দুইজন ছিলেন বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের একটি পিস্তলের গুলি পাওয়া গেছে জানিয়ে ওসি বলেন, হত্যাকাণ্ডটি ‘পরিকল্পিত’ বলে তারা ধারণা করছেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরাও হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন।
মানিকের ভাই দেলোয়ার হোসেন হীরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেও রানা ও তার সহযোগীরা মানিকের ওপর হামলা করেছিল। সে সময় আহত হলেও তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন।
আগের হামলাকারীরাই মানিককে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ হীরার।
ভিডিও দেখতে নিচে লিং এর ক্লিপ করুন..
ভিডিও দেখতে নিচে লিং এর ক্লিপ করুন..
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment