বান্দরবানে রাজপূণ্যাহ’য় এসে এক মারমা কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ১।

Image may contain: 3 people, people standing
বান্দরবানের রাজপূণ্যাহ’য় বেড়াতে এসে পৌর এলাকায় এক আদিবাসী কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ,আজ রোববার সকালে জেলা শহরের মধ্যমপাড়ায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন কাজল বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত এগারটার দিকে শহরের শাপলাচত্ত্বরের পর পৌরসভার শিশু পার্কের জন্য নির্ধারিত জায়গাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিম ও তার প্রেমিক ওই চার দুর্বৃত্তকে না চিনলেও একজনের নাম কাজল ও অন্যজন নিজেকে নেতা জুয়েল নাম পরিচয় দেওয়াতে এই দুইজনের নাম বলতে পারে। ঘটনার পর রোববার সকালে শহরের মধ্যমপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কাজল বড়ুয়াকে গ্রেফতার করে। কাজল মধ্যম পাড়া এলাকায় মুন্ডি ব্যবসা করে বলে জানা গেছে।
ভিকটিমের প্রেমিক উপোছাই মারমা পাহাড়বার্তাকে জানান, গত শুক্রবার রাতে দুইজনে রাজপূণ্যাহ মেলায় ঘুরেন। এরপর রাত এগারটার দিকে হাঁটতে হাঁটতে শিশু পার্কের জন্য নির্ধারিত জায়গাতে প্রস্রাব করার জন্য প্রেমিকাকে রেখে নির্জন জায়গায় যান। ফিরে আসার পর দেখেন চারজন যুবক তার প্রেমিকাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদেরই একজন নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা জুয়েল নাম পরিচয় দিয়ে এক পর্যায়ে ওই চার বাঙ্গালি যুবক তার প্রেমিকাকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় জোর করে দুই যুবক তার প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। এসময় তাকে অন্য দুই যুবক বেধে ফেলে।
ভিকটিমের প্রেমিক উপোছাই মারমা আরো জানান, আমরা শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেছি, এই ঘটনার বিচার পেতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী পাহাড়বার্তাকে জানান, সে সামনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে। তার বাড়ি বান্দরবানের রুমা উপজেলার থানা পাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম প্রু থোয়াইউ মারমা।
এদিকে শনিবার বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পর্ণ হয়েছে। বান্দরবান শহরে এই প্রথম গণধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত শাস্তি দাবী করেছে।
এই ব্যাপারে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ পাহাড়বার্তাকে বলেন, আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি, তার ৫দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে, অন্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে।

Comments