নিখোঁজ তরুণদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ

সমকাল প্রতিবেদক
রাজধানী থেকে নিখোঁজ ছয় তরুণের পরিবারের সদস্য ও পরিচিতজনদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

ওই তরুণদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতেই তাদের সঙ্গে কথা বলা হয় বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনও নিখোঁজ তরুণদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্পষ্ট নয় নিখোঁজ হওয়ার কারণও।

সিটিটিসির উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান সমকালকে বলেন, বনানী ও মাটিকাটা থেকে ছয় তরুণ নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেগুলো বিশ্লেণের পাশাপাশি তরুণদের খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলছে। 

গত ১ ডিসেম্বর বনানী থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ হয় চার তরুণ। তারা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জায়েন হোসেন খান পাভেল ও সাফায়েত হোসেন, একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানের কর্মী সুজন ও চাকরির পরীক্ষা দিতে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা মেহেদী হাওলাদার। এর আগে ২৯ নভেম্বর মাটিকাটা এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন কেয়ার মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমরান ফরহাদ। সর্বশেষ গত সোমবার সাঈদ আনোয়ার খান নামে ইংরেজি মাধ্যম পড়ূয়া এক তরুণ নিখোঁজ হন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বনানী থেকে একসঙ্গে নিখোঁজ চার তরুণের পরিবারকে বুধবার ডেকে নেওয়া হয় মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে। সেখানে সিটিটিসি কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। নিখোঁজ হওয়ার আগে তাদের সন্তানদের কর্মকাণ্ড, গতিবিধি, ধর্মীয় বিষয়ে আগ্রহ, বন্ধু-বান্ধব সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। উগ্রপন্থায় জড়ানোর কোনো লক্ষণ বা সম্ভাবনা ছিল কি-না তাও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু অভিভাবকরা দাবি করেন, তাদের সন্তানদের মধ্যে সেরকম কোনো লক্ষণ ছিল না। অন্যদিকে বনানী ও মাটিকাটার বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ দুই তরুণের বাসায় গিয়ে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন সিটিটিসি কর্মকর্তারা। তাদেরও একই ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে। এ অভিভাবকদের দাবি, তাদের সন্তান ধর্ম পালনে মনোযোগী হলেও জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী নয়।

ডিবির উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম সমকালকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের পাশাপাশি ডিবিও ঘটনাটির তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বনানী থেকে নিখোঁজ চার তরুণকে সর্বশেষ সেদিন সন্ধ্যায় কাঁচাবাজার এলাকার নর্দান ক্যাফে রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে। রেস্তোরাঁর সিসি ক্যামেরায় তাদের ছবি রয়েছে। তবে সেখান থেকে বের হওয়ার পর তাদের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

এদিকে পাবনা থেকে দুই তরুণ নিখোঁজ হওয়ার গুঞ্জন দু’দিন ধরে শোনা গেলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।

Comments