আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গুলশান ১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের আশপাশে স্বল্প মূল্যে জিনিস কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: সামছুর রহমান
গুলশান ১ নম্বরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটের দোকানিরা বেঁচে যাওয়া, কালি লাগা জিনিসপত্র স্বল্প মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এখানকার ব্যবসায়ীরা বলেন, এগুলো বিক্রি করে যা পাওয়া যাবে তাই লাভ।
আজ বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের সামনের ফুটপাত, পেছনের ও পাশের সীমানা দেয়াল এবং সামনের খোলা জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা নানা ধরনের জিনিস বিক্রি করছেন। এর মধ্যে আছে বাচ্চাদের খেলনা, বাচ্চাদের ব্যবহারের জিনিসপত্র, প্যাম্পার্স, সাইকেল, কাচের তৈজসপত্র, প্লাস্টিকের ফুল, তোয়ালেসহ সব ধরনের গৃহস্থালি ব্যবহার্য জিনিস।
মার্কেটের বাইরে ‘কিডস ক্লাবের’ কয়েকজন কর্মচারী বাচ্চাদের সাইকেল, বেবি সিটার, খেলনা গাড়ি বিক্রি করছিলেন। সেখান থেকে একটি সাইকেল তিন হাজার টাকায় কেনেন আশরাফ তালুকদার নামের এক ব্যক্তি। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সাইকেলটিতে একটু কালি লেগেছে। কিন্তু বাকি সব ভালো। তাই নিয়ে নিলাম।’
এ দোকানের কর্মচারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই সাইকেলটা অন্য সময় ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করতাম। এখন যা পাচ্ছি তাই লাভ। তাই দিয়ে দিচ্ছি।’
একটু পাশেই ‘ব্রাইট ওয়াচ’ নামের একটি দোকানের অ্যান্টিক ডিজাইনের দেয়ালঘড়ি বিক্রি করছিলেন জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আগুন লাগার দিন ৪০০ থেকে ৫০০ ঘড়ি বের করে আনতে পেরেছিলাম। কিন্তু সেগুলোতে কালি লেগে গেছে। তাই এখানে বিক্রি করে দিচ্ছি। একটি মাঝারি আকারের দেয়ালঘড়ি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। আগুন লাগার আগে এ ঘড়ি বিক্রি করতাম দুই হাজার টাকায়।’
তুহিন এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানে বিক্রি হতো বাড়িঘরের প্রয়োজনীয় (হোম অ্যাপ্লায়েন্স) প্রেশার কুকার, রাইস কুকার, ইস্তিরি, ব্লেন্ডার মেশিন ইত্যাদি।
এখানকার বিক্রেতারা বলেন, তাঁরা যা দাম চাইছিলেন, ক্রেতারা তার কাছাকাছি দাম বললেও তা দিয়ে দিচ্ছেন। যেমন চপারসহ ব্লেন্ডার আগে বিক্রি করতেন পাঁচ হাজার টাকায়। কিন্তু আজ দরদামের একপর্যায়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
জিনিসপত্র কিনতে গুলশান ১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের আশপাশে প্রচুর ক্রেতার উপস্থিতি দেখা গেছে। এঁদের বেশির ভাগই হলেন অফিস ফেরত।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment