যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবন

যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবনযৌতুকের জন্য কোনো নারীকে মারাত্মক জখম করলে দায়ী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন অথবা অন্যূন ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। এমন বিধান যুক্ত করে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’ -এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষ মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শফিউল আলম জানান, আইনে নতুন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের আইন ও অধ্যাদেশগুলো সমন্বয় করে নতুন আইনটি করা হচ্ছে। এই আইনে যৌতুকের জন্য কোনো নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খসড়ায় যৌতুকের জন্য আত্মহত্যার প্ররোচনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হলেও শেষ মুহূর্তে শাস্তি কমিয়ে আনা হয়।
শফিউল আলম বলেন, আইনে যৌতুকের জন্য নারীকে মারাত্মক জখম করার শাস্তি হিসেবে আসামির কারাদণ্ডের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তের ক্ষতি বিবেচনায় অর্থদণ্ডসহ আমৃত্যু ভরণপোষণের বিধান রাখা হয়েছে। আর সাধারণ জখমের জন্য আসামির অনধিক তিন বছর কিন্তু কমপক্ষে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।
১৯৮০ সালে করা বিদ্যমান যৌতুক নিরোধ আইনে যৌতুক দাবি ও লেনদেনের জন্য শাস্তির বিধান থাকলেও যৌতুক চেয়ে নির্যাতন বা আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য শাস্তির কথা বলা নেই।
mongsai79@gmail.com

Comments