- Get link
- X
- Other Apps
ধরন ১
প্রতিক্রিয়াশীল
প্রাথমিক পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এটি। পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করে এবং কোনো কিছু দেখে সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করে এটি। এর বাইরে কোনো কিছুর ধারণা এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির থাকে না। এটি পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি থেকে স্মৃতি তৈরি কিংবা আগের ঘটনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বর্তমান কোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না।
উদাহরণ
* আইবিএমের ডিপ ব্লু
* গুগলের আলফাগো প্রোগ্রাম
ধরন ২
সংক্ষিপ্ত স্মৃতি
দ্বিতীয় পর্যায়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এটি। এ ধরনের প্রযুক্তিতেও আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেয় যন্ত্র। তবে আগের ধরনের সঙ্গে পার্থক্য হলো আগের ঘটনার স্মৃতি কাজে লাগাতে পারে। এতে ঠিক এতটুকু স্মৃতি কিংবা অভিজ্ঞতা যোগ করা হয় যাতে অবস্থা অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
উদাহরণ
* চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি
* চ্যাট বট, ব্যক্তিগত ডিজিটাল সহকারী
ধরন ৩
মনসূত্র
তৃতীয় পর্যায়ের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি মানুষের কাজের ধরনে প্রভাব ফেলে এমন চিন্তা এবং অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করে। এ ধরনের প্রযুক্তির উন্নয়ন চলছে, তবে এখনো হাতের নাগালে পৌঁছায়নি। মানুষের ইচ্ছা, আশা, স্পৃহা ও অনুভূতির ধরন বুঝে সামাজিকতা রক্ষা করতে পারবে এই প্রযুক্তি।
উদাহরণ
* স্টার ওয়ারস সিরিজের চলচ্চিত্রের ‘সি-৩পিও’এবং ‘আর২-ডি২’ চরিত্র
* ২০০৪ সালের মুক্তি পাওয়া আই, রোবট চলচ্চিত্রের ‘সনি’ চরিত্র
ধরন ৪
সচেতন
এ ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিজের অবস্থা বুঝতে পারে। আগের ধরনের চেয়ে কিছুটা উন্নত এই প্রযুক্তি। নিজের ‘অনুভূতি’ সম্পর্কে যেমন সচেতন, তেমনই অন্যের অনুভূতি অনুমান করতে পারে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এ ধরনের বুদ্ধিমান যন্ত্রে থাকবে। সচেতন, সংবেদনশীল এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি পাওয়া যাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যন্ত্রে।
উদাহরণ
* ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি এক্স মেশিনা-এর ‘ইভা’
* ২০১৫ সালের টিভি সিরিজ হিউম্যানস-এর ‘সিন্থস’
সূত্র: ফিউচারিজম
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment