ম্যারাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ কি জানেন?

ম্যারাডোনা যখন বার্সেলোনায়। ফাইল ছবি
ম্যারাডোনা যখন বার্সেলোনায়। ফাইল ছবিবোকা জুনিয়র্স থেকে প্রথম ইউরোপে খেলতে এসেছিলেন বার্সেলোনার হয়ে। দুই বছর ছিলেন এই ক্লাবে। শেষটা ছিল রীতিমতো তিক্ত। ক্লাবে একরকম ভাঙচুর করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বার্সেলোনায় থাকার সময়ই ম্যারাডোনা মাদক নিতে শুরু করেন। ফুটবল ক্যারিয়ারে দুহাত ভরে পেয়েছেন, কিন্তু জীবনে এই একটা বড় আক্ষেপ রয়ে গেছে। ম্যারাডোনা মনে করেন, মাদক নেওয়াই ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল। এ নিয়ে আক্ষেপ শেষ হওয়ার নয়।

বয়স যখন ২০-এর ঘরে, তখন এই মাদকের ফাঁদে পা দেন। বার্সা থেকে নাপোলিতে নাম লেখানোর পর এ নেশা আরও তুঙ্গে চলে যায়। ইতালির এই রাজ্য ছিল মাদকসম্রাটদের আস্তানা। অন্ধকার এক দুনিয়া। নাপোলিতে নিজের ফুটবল ক্যারিয়ারের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছালেও ব্যক্তি জীবনটা ওলট-পালট হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির। আর মাদকের নেশা থেকে বের হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁকে।

এ এমনই এক সর্বনাশা নেশা, যার ফাঁদে পড়া সহজ। কিন্তু মুক্তি পাওয়া সহজ নয়। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ঘুরেও এসেছেন। এমনকি চলে গিয়েছিলেন কোমায়।

ম্যারাডোনা এক সাক্ষাৎ​কারে বলেছেন, ‘২৪ বছর বয়সে আমি ড্রাগ নিতে শুরু করি। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল এটাই। আমি যখন কোমায় ছিলাম, আমার মেয়ে এসে কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, আমি যেন ওর জন্য হলেও বাঁচি। খোদাকে ধন্যবাদ জানাই, খোদা মেয়ের কান্না শুনেছেন, আমাকে আবার জ্ঞান ফিরিয়ে দিয়েছেন।’

নিজের জীবনটাকে নিয়ে জুয়া খেলেছিলেন ম্যারাডোনা। দুহাতে টাকা উড়িয়েছেন। একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। আর মাদক তো ছিলই। কিন্তু ম্যারাডোনা মনে করেন, সব খারাপের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ হলো নেশা, ‘ড্রাগই সবচেয়ে বড় সমস্যা। মাদক আপনাকে মেরে ফেলবে, খুন করে ফেলবে। আমার সৌভাগ্য, আমি আবারও আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে পারছি। যদি নেশা করে যেতাম, এত দিন বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

ম্যারাডোনার এই উপলব্ধি অনেকের জন্য একটা শিক্ষাও!
mongsai79@gmail.com

Comments