অভিযোগ আছে, তিনি তার টিনেজ ওই ছাত্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তিনি টেক্সাসের হিউজটনে অবস্থিত স্টোভাল মিডল স্কুলে শিক্ষকতা করার সময় ওই ছাত্রকে বেছে নেন। তার সঙ্গে দহরম মহরম সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামের ইউজার-নেম শেয়ার হয়। ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে।
আলেকজান্দ্রিয়া ভেরা ওই শিক্ষার্থীর বাসায় যাওয়া-আসা শুরু করেন। ব্যস, শিকার হাতের নাগালে পেয়ে যান তিনি। শুরু করেন ন্যক্কারজনক এক অধ্যায়। এক পর্যায়ে তিনি অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানাজানি হয়। শিশুর প্রতিরক্ষা বিষয়ক আইনে ফেঁসে যাবেন এমন ভয়ে গর্ভপাত করান ভেরা। এসব নিয়ে মামলা হয়।
হ্যারিস কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট আদালতে আলেকজান্দ্রিয়া ভেরা বলেন, এক পর্যায়ে তার ওই ছাত্রের পিতামামার সঙ্গে সাক্ষাত হয়ে যায় তার। তিনি নিজেকে এ সময় ওই ছাত্রের গার্লফ্রেন্ড হিসেবে পরিচয় দেন। ওই ছাত্রের পিতামাতা বিষয়টি কিভাবে নিয়েছিলেন তা জানা যায় নি। তবে জানা গেছে, ভেরার বাসভবনে রাত কাটিয়েছে ওই ছাত্র। মাঝে মাঝেই ভেরার বাড়িতে যাতায়াত করতে থাকে সে। এমন আনুগত্য দেখে তাকে নিজেই গাড়ি চালিয়ে বাড়ি দিয়ে আসতেন ভেরা।
এ মামলার শুনানি শেষে বিচারক মাইকেল ম্যাকস্প্যাডেন বলেছেন, আলেকজান্দ্রিয়া ভেরা একজন ক্লাসিক যৌন নিপীড়ক নয়। সে অন্য শিশুদের জন্য বিপদের কারণ হয় নি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। অন্যদের জন্য এটা হবে উদাহরণ। তিনি আরও বলেন, শিক্ষিকারা আমাদের সন্তানদের শিক্ষিকা হয়েই থাকুন আমরা এমনটা চাই। তাদের হাত যেন শিক্ষার্থীদের দিকে অগ্রসর না হয়।
উল্লেখ্য, আলেকজান্দ্রিয়া ভেরার ১০ বছরের জেল হলেও তিনি ৫ বছর পর প্যারোলে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment