পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্টের একি কাণ্ড!

.
.অসুস্থতার কারণে কয়েক বছর ধরে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ দেশের বাইরে রয়েছেন। দেশের বাইরে থেকেই মাঝেমধ্যে কথার তুবড়ি ছোড়েন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় আবার সংবাদমাধ্যমের আলোচনায় এসেছেন দেশটির সাবেক এই সেনাশাসক।
পাকিস্তানের জিও টিভি এবং ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, বিদেশের একটি নৈশ ক্লাবে প্রকাশ্যেই নাচতে দেখা গেছে সেনাশাসক থেকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বনে যাওয়া পারভেজ মোশাররফকে। দেশটির প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মিরে সেই ভিডিওর শেয়ার করে টুইট করেছেন। তিনি টুইটে বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, ভিডিওতে যে ব্যক্তি নাচছেন তিনি কে?’ টুইটারে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নৈশ ক্লাবে এক তরুণীর সঙ্গে উদ্দাম তালে নাচছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট। ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘দিল্লিওয়ালি গার্লফ্রেন্ড’ গানের তালে ওই তরুণীর সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন তিনি। তবে কবে ও কোথায় ওই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।

গত বছর খবর বের হয় যে পারভেজ মোশাররফ এখন বেশ অসুস্থ। এমনকি আদালতে মেডিকেল প্রতিবেদন জমা দিয়ে পারভেজ মোশাররফ জানান, পিঠের ব্যথায় তিনি আক্রান্ত। কিন্তু হামিদ মীরের ওই টুইট সামনে আসায় মোশাররফের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যাকাণ্ডের জন্য পারভেজ মোশাররফকে দায়ী করা হয়। এ ছাড়া উগ্রপন্থীদের ঘাঁটি হিসেবে অভিযুক্ত লাল মসজিদে অভিযান চালিয়ে ধর্মীয় নেতা আবদুল রশিদ গাজীকে হত্যার মামলায়ও তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত। জেনারেল মোশাররফ দেশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় ২০০৭ সালের জুলাই মাসে লাল মসজিদে এক অভিযানে নিহত হন আবদুল রশিদ গাজী। এর আগে উপজাতীয় এলাকায় তালেবানবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে সরকারের বিরাগভাজন হন তিনি। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আবদুল রশিদের ছেলে হারুন রশিদ জেনারেল মোশাররফের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
mongsai79@gmail.com

Comments