সেনাবাহিনীতে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ‘এফএম-৯০’

 আরফাতুল মজিদ কক্সবাজার
দেশের আকাশ সীমানা প্রতিরক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স শাখায় প্রথমবারের মতো সংযোজিত হয়েছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ‘এফ এম-৯০’। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে শক্তিশালী এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপণ করা হয়। ভূমি থেকে নিক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ১৫ কিলোমিটার দূরবর্তী শত্রু বিমান, হেলিকপ্টার, ক্রস মিসাইল, এন্টিরেডিয়েশন মিসাইলের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিখুতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষায় সক্ষম হবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর পৌনে ১ টায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী নিদানীয়া সমুদ্রসৈকতে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপের কয়েক মিনিট পূর্বে আকাশে একটি ড্রোন উড্ডয়ন করা হয়। ওই ড্রোনটি ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে ফেরার পথে সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে থাকাকালিন সময়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয় এবং সেখানেই ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়। পাঁচ মিনিট পর আরও একটি ক্ষেপণান্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তবে এসময় ড্রোন উড্ডয়ন করা হয়নি।
সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্সের ‘অ্যাডহক শোরাড মিসাইল রেজিমেন্ট আর্টিলারি’ ইউনিট ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে। এটি নিক্ষেপে চীনা সেনাবাহিনীর একটি দল সার্বিক সহযোগিতা করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি চীন থেকেই এনেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এটিই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষায় এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র।
পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। এসময় সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এই সিস্টেমটি যুদ্ধকৌশলের অংশ হিসেবে আকাশ প্রতিরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
mongsai79@gmail.com

Comments