প্রথমেই একটু কল্পনাশক্তি ব্যবহার করা যাক। আজ পার্ক ডে প্রিন্সেসে নেমেছে বার্সেলোনা। ম্যাচ শুরু হওয়ার পরই সবার টনক নড়ল। একি লিওনেল মেসি কোথায়? একটু খুঁজতেই দেখা মিলল তাঁর, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাঠের এক কোণে পড়ে আছেন বার্সা ফরোয়ার্ড!
একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল? কল্পনাটা কিন্তু আমাদের নয়, এমন ‘উদ্ভাবনী’ চিন্তা বেরিয়েছে লুকাস মোরার মাথা থেকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে মেসির হাত (পড়ুন পা) থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে গিয়ে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই উইঙ্গারের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘নিয়মের মধ্যে থেকে মনে হয় না ওকে আটকানো সম্ভব। বেঁধে রাখতে হবে তাকে!’
ইদানীং যে ফর্মে আছেন মেসি, তাতে হয়তো বেঁধে রেখেও লাভ হবে না। কোনো না কোনো উপায় খুঁজে বের করে গোল করবেন অথবা সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়ে নেবেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। আর মেসিকে থামিয়েও যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে ফরাসি ক্লাবটি সে উপায়ও নেই। নেইমার-সুয়ারেজরা তো আর বসে থাকবেন না। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আজ কোন দল ফেবারিট, সেটা নিয়ে তাই কোনো দ্বিধা নেই লুকাসের মাঝে, ‘বার্সার বিপক্ষে কোনো ভুল করা যাবে না। এমন একটা দলের সঙ্গে ভুল করা মানেই আপনি শেষ। আমার কাছে ওরাই বিশ্বসেরা দল, তবেই কেউই অপরাজেয় নয়।’
ব্রাজিলিয়ান লুকাসের ভয়টা যেখানে, সেখানেই স্বস্তি ফ্রান্সের লুকাসের। ফ্রেঞ্চ লেফটব্যাক লুকাস দিনিয়ে এবারই যোগ দিয়েছেন বার্সেলোনায়। কাছ থেকে দেখার সুযোগ হচ্ছে ‘এমএসএন’ ত্রিমূর্তিকে। অর্ধেক মৌসুম কাটিয়ে মুগ্ধতা দিন দিন আরও বাড়ছে তাঁর, ‘দলে যখন বিশ্বের সেরা তিন ফরোয়ার্ড থাকে, পার্থক্যটা টের পাবেনই। আর ফুটবলে গোল করাটাই যেহেতু মূল কাজ, সেরা আক্রমণ থাকলে তো ভালো।’
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে চাইলে এই ভয়ংকর ত্রিমূর্তিকে আটকাতেই হবে পিএসজির। চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ চারবারই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। সেই ধারাবাহিকতা রেখে এবারও নিশ্চয়ই শেষ ষোলো পেরোনোর আশা করছে পিএসজি। আবার ২০১৩ ও ২০১৫ সালে পিএসজির চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রাটা শেষ হয়েছিল এই বার্সেলোনার কাছে হেরেই। এবার কী অপেক্ষা করছে পিএসজির জন্য?
আজ অন্য ম্যাচে বেনফিকার মাঠে খেলতে যাচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। এএফপি, ডেইলি মেইল।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment