- Get link
- X
- Other Apps
লাল আর হলুদ কার্ডের ছড়াছড়ির ম্যাচে লড়াইটা হলো দারুণ জমজমাট। শুরুতে আধিপত্য ছড়ালেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত কাম্প নউয়ে জয় খরা কাটাতে পারেনি দিয়েগো সিমেওনের দল। দুই লেগের লড়াইয়ে তাদেরকে ছিটকে দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রের ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা।
সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে কাতালান ক্লাবটির জয় ৩-২ ব্যবধানে। আতলেতিকোর মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা।
হলুদ কার্ডের জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি নেইমার। ফাইনালেও এমনই এক শূন্যতা নিয়ে মাঠে নামতে হবে তাদের। লাল কার্ড পাওয়ায় শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলতে পারবেন না লুইস সুয়ারেস।
তিন লাল আর আট হলুদ কার্ডের এই ম্যাচে সুয়ারেসের গোলে প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। আতলেতিকোকে পরে সমতায় ফেরান কেভিন গামেরো।
ফাইনালে উঠতে একরকম অসাধ্যই সাধন করতে হতো আতলেতিকোকে। গত ১০ বছরে যেখানে একবারও জিততে পারেনি সেই কাম্প নউয়ে মঙ্গলবার রাতে কমপক্ষে ২-০ গোলে জিততে হতো।
বিরতির আগের পাঁচ মিনিটে সবকিছু পাল্টে যায়, দুই লেগের লড়াইয়ে জয়-পরাজয়ের হিসেবটাও অনেকটা মিলে যায়। গুছিয়ে ওঠা বার্সেলোনা ৪৩তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে এগিয়ে যায়। তিন জনের মধ্যে দিয়ে কোনাকুনি গিয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির নীচু শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভেদে কোনো ভুল করেননি সুয়ারেস।
প্রতিযোগিতার এবারের আসরে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের এটি চতুর্থ গোল এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে ২১তম।
এগিয়ে যাওয়া বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও করে আক্রমণাত্মক। তবে ম্যাচের নাটকীয়তার তখনও ছিল ঢের বাকি। ৫৭তম মিনিটে স্পেনের মিডফিল্ডার রবের্তো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা।
৭৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতো পারতো; কিন্তু প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে মেসির ফ্রি-কিক ক্রসবারে লাগে। দুই মিনিট পর জেরার্দ পিকে নিজেদের ডি-বক্সে গামেরোকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় আতলেতিকো। নিজেই শট নিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে উঁচিয়ে মারেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড।
ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতে দেরি করেননি গামেরো। ৮৩তম মিনিটে বাঁ-দিক থেকে গ্রিজমানের নি:স্বার্থ পাস পেয়ে সহজেই জালে পাঠান বদলি নামা এই স্ট্রাইকার।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সুয়ারেসও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। পাঁচ মিনিটের যোগ করা সময়ে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই আরও জমে ওঠে। তবে নয় জনের বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত আর কোনো নাটকীয়তার জন্ম হতে দেয়নি।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment