কবিরাজির নামে ‘কুমারী’ মেয়েকে গণধর্ষণ!

কিশোরগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসার নামে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে আজ সোমবার মানববন্ধন করা হয়। ছবি : এনটিভি
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নে কবিরাজি চিকিৎসার নামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ‘কুমারীকে’ গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কথিত তিন কবিরাজের বিচার দাবিতে আজ সোমবার দুপুরে পাশে হোসেনপুর উপজেলার চর পুমদী আহমাদু জুবায়দা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে মানববন্ধন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই ছাত্রীর চাচা তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের মুকসুদপুর গ্রাম থেকে আজিজুল হক, রুবেল মুন্সী ও সাইফুল ইসলাম নামের তিন কবিরাজকে বাড়িতে ডেকে আনেন। বাড়িতে এসে কবিরাজরা জানান, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য একজন কুমারী মেয়ে প্রয়োজন। কবিরাজের কথামতো তিনি পাশের বাড়ি থেকে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া তাঁর ভাতিজিকে ডেকে আনেন। একপর্যায়ে কবিরাজি করার ভান করে ওই মেয়েকে ঘরে রেখে অন্যদের বাইরে বের করে দেন কবিরাজরা। পরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যান ওই তিন কবিরাজ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পরে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাসদ-ই আফরোজা পারভীন বলেন, বর্তমানে ওই ছাত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
এদিকে, ওই ছাত্রীর ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলত শাস্তির দাবিতে আজ দুপুরে পাশেই হোসেনপুর উপজেলার চর পুমদী আহমাদু জুবায়দা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে মানববন্ধন করা হয়।
ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পুমদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল আরেফিন ফরিদ, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, জেলা জাকের পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দিক, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ফারুক মিয়া, জহিরুল ইসলাম, মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা আমিনুল ইসলাম। বক্তারা ধর্ষণকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে স্কুলছাত্রীর মা কবিরাজ আজিজুল হক, রুবেল মুন্সী ও সাইফুল ইসলামকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।
mongsai79@gmail.com

Comments