বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বিনয়ন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অনিল চাকমা ১৯ এপ্রিল, বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে নান্যাচর কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ও পিসিপি নান্যাচর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক রমেল চাকমাকে হত্যাকারী নান্যাচর জোনের মেজর তানভীরসহ দোষী সেনা সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ এপ্রিল রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলা সদর থেকে রমেল চাকমাকে সেনারা ধরে নিয়ে যায় এবং নান্যাচর জোনে নিয়ে অমানুষিকভাবে প্রচন্ড মারধর করে। এর একদিন পর তাকে গুরতর আহত অবস্থায় নিজেদের প্রহরায় সেনারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এবং সেখানে সেনা নজরদারি ও পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ওপর জঘন্য শাসন জারি রয়েছে মন্তব্য করে নেতৃদ্বয় বলেন, এই শাসনে জনগণ পিষ্ঠ হচ্ছে। সেনা অত্যাচার চরম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। কায়েমী সেনাচক্র প্রতিনিয়ত ধরপাকড়-নির্যাতন চালিয়ে কায়েমী স্বার্থ আদায়ে তৎপর রয়েছে। রমেল চাকমাকে পিটিয়ে হত্যার মাধ্যমে আবারো স্পষ্ট হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে কত বর্বর নিষ্ঠুর খেলায় মত্ত রয়েছে কায়েমী সেনা চক্রটি।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অপরাধকে আড়াল করা হয়, শাস্তি না দিয়ে তাদের রক্ষার জন্য যা যা করার করণীয় তার ব্যবস্থা করা হয়। এ কারণে কল্পনা চাকমার অপহরণকারী লে. ফেরদৌসসহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত সেনাদের বিচার ও শাস্তি হয়নি। সরকারী আস্কারা ও ছাড় পেয়ে কায়েমী সেনাচক্র আরো বেপরোয়া হয়েছে, গুরুতর অপরাধ করতেও আজ তারা দ্বিধা করছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ নির্দেশনা এই সেনা চক্রটিকে আরো উস্কে দিয়েছে। ফলে হত্যাকা-সহ একের পর এক অপকর্ম তারা ঘটিয়েছে চলেছে।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে অবিলম্বে রমেল চাকমা হত্যাকারী নান্যাচর জোনের মেজর তানভীরসহ জড়িত সেনা সদস্যদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, রমেল চাকমার পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও অন্যায় নির্যাতন বন্ধসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ রমেল চাকমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান এবং রমেল চাকমার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
mongsai79@gmail.com
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ এপ্রিল রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলা সদর থেকে রমেল চাকমাকে সেনারা ধরে নিয়ে যায় এবং নান্যাচর জোনে নিয়ে অমানুষিকভাবে প্রচন্ড মারধর করে। এর একদিন পর তাকে গুরতর আহত অবস্থায় নিজেদের প্রহরায় সেনারা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এবং সেখানে সেনা নজরদারি ও পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ওপর জঘন্য শাসন জারি রয়েছে মন্তব্য করে নেতৃদ্বয় বলেন, এই শাসনে জনগণ পিষ্ঠ হচ্ছে। সেনা অত্যাচার চরম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। কায়েমী সেনাচক্র প্রতিনিয়ত ধরপাকড়-নির্যাতন চালিয়ে কায়েমী স্বার্থ আদায়ে তৎপর রয়েছে। রমেল চাকমাকে পিটিয়ে হত্যার মাধ্যমে আবারো স্পষ্ট হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে কত বর্বর নিষ্ঠুর খেলায় মত্ত রয়েছে কায়েমী সেনা চক্রটি।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অপরাধকে আড়াল করা হয়, শাস্তি না দিয়ে তাদের রক্ষার জন্য যা যা করার করণীয় তার ব্যবস্থা করা হয়। এ কারণে কল্পনা চাকমার অপহরণকারী লে. ফেরদৌসসহ অসংখ্য অপরাধে জড়িত সেনাদের বিচার ও শাস্তি হয়নি। সরকারী আস্কারা ও ছাড় পেয়ে কায়েমী সেনাচক্র আরো বেপরোয়া হয়েছে, গুরুতর অপরাধ করতেও আজ তারা দ্বিধা করছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ নির্দেশনা এই সেনা চক্রটিকে আরো উস্কে দিয়েছে। ফলে হত্যাকা-সহ একের পর এক অপকর্ম তারা ঘটিয়েছে চলেছে।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে অবিলম্বে রমেল চাকমা হত্যাকারী নান্যাচর জোনের মেজর তানভীরসহ জড়িত সেনা সদস্যদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, রমেল চাকমার পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও অন্যায় নির্যাতন বন্ধসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দমনমূলক ১১ নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ রমেল চাকমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোককে শক্তিতে পরিণত করতে ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান এবং রমেল চাকমার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment