গত বৃহস্পতিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের বিদায়ী কনসাল ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কিরীটি চাকমা নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘টেবিলের এ প্রান্তে কি আছে, কি বা হচ্ছে ও প্রান্তে, কাজের ক্ষেত্র থেকে কিন্তু আমি-আমরা ঠিকই বুঝতে পারি। যা আপনারা হয়তো বোঝেন না। শুধুমাত্র এ বিষয়টি মাথায় রেখে নির্ভেজাল ভাবেই কাজ করে যেতে চেয়েছি এবং সেটাই করতে পেরেছি মনে হচ্ছে। বিদায়কালে আপনাদের বক্তব্য শুনে আমি অনুপ্রাণিত হচ্ছি। কথাগুলো ভবিষ্যতে আরো ভাল কাজ করার জন্যে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
শারজার একটি হোটেলে দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশি কমিউনিটি কর্তৃক প্রদত্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমান।
বিদায়ী সহকর্মীর প্রশংসা করে একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনারা চিন্তাও করতে পারবেন না কি পরিমাণ আন্তরিকতার সহিত কিরীটি চাকমা তার দায়িত্ব পালন করেছেন। দুবাই ও উত্তর আমিরাতের মতো একটি বৃহত্তর কমিউনিটিতে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের দায়িত্ব পালন করা যে কি পরিমাণ ঝামেলার ছিল, একমাত্র তিনিই ভাল বলতে পারবেন। অথচ নিজের কাজগুলো খুব সহজ ভাবেই তিনি সম্পন্ন করতে পেরেছেন। আমাদেরও কৃতজ্ঞ করেছেন।’
সাইফুদ্দিনের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আল মামুন সরকার, আইয়ুব আলী বাবুল, নওশের আলী, ইসমাইল গনী চৌধুরী, জাকির হোসেন, নুরুল আলম, আবু নাসের, মাজহার উল্লাহ মিয়া, জাহাঙ্গির আলম রুপু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কিরীটি চাকমা দুবাইতে যেমন মানুষকে ভালবাসা দিয়েছেন তেমনি ভাবে পরবর্তী কর্মস্থালেও এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে ধীরে ধীরে নিজের কর্মের মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবেন।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment