চট্টগ্রামে নিজ বাসায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই পোশাক শ্রমিক। ১২ বখাটে মিলে তাদের রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দু’জন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১০ মে রাত সাড়ে ৯টায় বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কের নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হন দুই পোশাক শ্রমিক। তাদের একজনের বয়স ২০ বছর। দ্বিতীয়জন তার দূর সম্পর্কের খালা, তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি ওই বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই দিন রাতে করম আলীর নেতৃত্বে এক দল বখাটে ওই বাসায় অবৈধ কার্যকলাপ চলছে অভিযোগ তুলে সেখানে ঢুকে পড়ে। পরে ১২ জন মিলে পালাক্রমে রাতভর দু’জনকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা বাইরে প্রচার করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে ধর্ষকরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন দুটি ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে একই ভয় দেখিয়ে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। ঘটনার পরদিন থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার একজন। তবে পুলিশ এতদিন মামলাটি গোপন রাখে। পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেফতারের জন্যই মামলাটি গোপন রাখা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মেহেদি, রুবেল, তারেক ও বাছির নামে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে মেহেদিকে ৪ দিন এবং রুবেলকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারেক ও বাছির ধর্ষণের দায় স্বীকার করে শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এ দুই ধর্ষকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তারা জবানবন্দিতে দুই পোশাক কর্র্মীকে ধর্ষণের সঙ্গে তারাসহ ১২ জন জড়িত থাকার তথ্য দেয়। ধর্ষকদের নাম-পরিচয়ও জানায়। বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন যুগান্তরকে বলেন, গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ১২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। বাকি ৮ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অভিযুক্ত সবাই মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে ১৭ মে মধ্য রাতে দুই সন্তানকে জিম্মি করে হাটহাজারীতে তিন বখাটে মিলে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তিন বখাটের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন সোহেল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
mongsai79@gmail.com
অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ১০ মে রাত সাড়ে ৯টায় বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কের নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হন দুই পোশাক শ্রমিক। তাদের একজনের বয়স ২০ বছর। দ্বিতীয়জন তার দূর সম্পর্কের খালা, তার বয়স ৩৫ বছর। তিনি ওই বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই দিন রাতে করম আলীর নেতৃত্বে এক দল বখাটে ওই বাসায় অবৈধ কার্যকলাপ চলছে অভিযোগ তুলে সেখানে ঢুকে পড়ে। পরে ১২ জন মিলে পালাক্রমে রাতভর দু’জনকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনা বাইরে প্রচার করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে ধর্ষকরা। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন দুটি ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে একই ভয় দেখিয়ে ৩ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। ঘটনার পরদিন থানায় মামলা করেন ধর্ষণের শিকার একজন। তবে পুলিশ এতদিন মামলাটি গোপন রাখে। পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেফতারের জন্যই মামলাটি গোপন রাখা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ মেহেদি, রুবেল, তারেক ও বাছির নামে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে মেহেদিকে ৪ দিন এবং রুবেলকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারেক ও বাছির ধর্ষণের দায় স্বীকার করে শনিবার সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এ দুই ধর্ষকের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তারা জবানবন্দিতে দুই পোশাক কর্র্মীকে ধর্ষণের সঙ্গে তারাসহ ১২ জন জড়িত থাকার তথ্য দেয়। ধর্ষকদের নাম-পরিচয়ও জানায়। বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন যুগান্তরকে বলেন, গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ১২ জনের নাম প্রকাশ করেছে। বাকি ৮ জনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অভিযুক্ত সবাই মাদকসেবী ও সন্ত্রাসী। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এর আগে ১৭ মে মধ্য রাতে দুই সন্তানকে জিম্মি করে হাটহাজারীতে তিন বখাটে মিলে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় তিন বখাটের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন সোহেল নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলেও বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment