আদিবাসী পাহাড়ী মেয়েদের পতিতাবৃত্তির খবর জানলে চমকে উঠবেন!

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বলা হয় বাংলাদেশের প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য! এই অঞ্চলে রয়েছে প্রায় ১৩টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী! একারণে এ অঞ্চলটি বেশ বৈচিত্র্যময়। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আদিবাসীরা এখন অনেক বেশি সচেতন, শিক্ষিত এবং আধুনিক।
কিন্তু বিভিন্ন সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শিক্ষা আর আধুনিকতার পাশাপাশি পাহাড়ী মেয়েরা আজকাল পতিতাবৃত্তিও করছে। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় আদিবাসী পাহাড়ী মেয়েদের পতিতাবৃত্তি এখন অনেক বেড়ে গেছে। খাগড়াছড়ি বাজারের জসিম নামে ব্যক্তি জানান, “একরাত অভিযান চালালে বুঝতে পারবেন কি পরিমাণ পাহাড়ী মেয়ে পতিতাবৃত্তি করে।” তিনি আরো জানান, “পাহাড়ী মেয়েদের পতানো খুব সহজ! দু’য়েকটা থ্রীপিস, একটা মোবাইল সেট কিনে দিলে সারা বছর পাওয়া যায়! একবার ইনভেস্টেই সারা বছর!”
রাঙ্গামাটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোটেল ম্যানেজার জানান, “পাহাড়ে অনেক পর্যটক আসে শুধুমাত্র পাহাড়ী মেয়ের সাথে রাত কাটানোর জন্য। বুঝতেই পারছেন পাহাড়ী মেয়েদের পতিতাবৃত্তির জন্যই হোটেল ব্যবস্যা টিকে আছে।” তিনি আরো জানান, “শিক্ষিত মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। এর মধ্যে কিছু শিক্ষিত বিবাহিত মহিলাও রয়েছে।” একজনকে কনট্যাক্ট করে দেওয়ার কথা বললে তিনি জানান, “এটা পাহাড়ী কাস্টমারদের জন্য নয়! নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার কথা চিন্তা করে পাহাড়ী কাস্টমারদের সরবরাহ করা হয় না। তবে বাঙ্গালী মেয়ে হলে সমস্যা নেই।”
বান্দরবানেও সেলিম নামে এক বাঙ্গালী পর্যটকের সাথে কথা বলে পাহাড়ী মেয়েদের পতিতাবৃত্তির সত্যতা পাওয়া গেছে। ঢাকা থেকে আগত ঐ ব্যক্তি জানান, তারা প্রায়ই বন্ধু বান্ধব মিলে বান্দরবানে যান। এছাড়া চট্টগ্রাম, ঢাকা, কক্সবাজারেও পাহাড়ী মেয়েদের পতিতাবৃত্তির খবর পাওয়া গেছে।
পাহাড়ী আদিবাসী মেয়েদের কেউ স্বেচ্ছায়, কেউবা অজান্তে ফাঁদে পড়ে এ পেশায় যুক্ত হচ্ছেন। জানা গেছে আঞ্চলিক দলগুলো এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া স্বত্ত্বেও পাহাড়ী মেয়েদের পতিতাবৃত্তি রোধ করা যাচ্ছে না। তাই অনেকে মনে করেন, এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কাউন্সিলিং এর কোনো বিকল্প নেই।
mongsai79@gmail.com

Comments