
এলাকার জনগন সামাজিক বিচারের আওতায় এনে ভূয়া ডিবি কাজী রফিকুল ইসলাম (পলাশ) কে গনপিটুনি দিয়েছে। এরপর এলাকার গন্যমান্য মুরুব্বীরা সামাজিক "প্রথা" অনুসারে জনাব কাজী রফিকুল ইসলাম (পলাশ) কে টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় কাজী রফিকুল ইসলাম (পলাশ) বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে নিজেকে ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দিয়ে আসছে। রাখাইন/বার্মিজমার্কেটে চাকুরীরত মেয়েদের সুদের টাকা ধার দিয়ে আসছে। একাধীক রাখাইন/বার্মিজ মার্কেটে চাকুরীরত মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছে। তিনি আরওবলেছেন যে কক্সবাজারে রাখাইন থেকে শুরু করে স্থানীয় বাংগালিরা পর্যন্ত তাকে ডিবি পুলিশের লোক বলে জানেন এবং একজন ভদ্র ও শিক্ষিত লোক বলে গন্য করা হয়েথাকে। কক্সবাজারে বিশেষত রাখাইনরা অসচেতন ও অসংগঠিত হওয়ায় ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ভদ্র লোকের মুখোশ পরে এহেন অবৈধ ও অনৈতিক কাজ গুলোকে দিনেরপর দিন করে আসতে পারছে বলে, জনাব কাজী রফিকুল ইসলাম (পলাশ) অকপটে বাংগালহলিয়া (রাংগামাটি) স্থানীয় মুরুব্বী দের কাছে স্বীকার করেছে।
কক্সবাজারের কক্স-মার্কেট'র অন্যান্য ব্যবসায়ী ও মার্কেটে চাকুরীরত মেয়েদের উক্ত ভূয়া ডিবি ও ভদ্র লোকের মুখোশধারী কাজী রফিকুল ইসলাম (পলাশ) সম্পর্কে জানতেচাইলে ভয়ে কেউ তার সম্পর্কে বলতে চাইনি। তবে [নাম গোপন রাখার শর্তে] ভুয়া ডিবি ও ভদ্র লোকের মুখোশধারী কাজী রফিকুল ইসলাম (পলাশ) এর দোকানেচাকুরীরত একজন কর্মচারী[মেয়ে] জানান,
“আমাদের অতিরিক্ত বেতন/টাকা, থাকার খাওয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে তার দোকানে রাখে। আর আমাদের বাসা ভাড়ায় না রেখে বিভিন্ন হোটেলে রাখে এবংভয় দেখিয়ে অপকর্ম করে আসছে এবং আমাদের দিয়ে বিভিন্ন মাদক দ্রব্য ও ইয়াবা ব্যবসা করার জন্যে জোড় করে। অনেক মেয়েরা [কর্মচারী] ভয়ে যার যার বাসায় চলেগেছে। আমিও চলে যাবো বলছি। কিন্তু আমাকে আমার পরিবর্তে অন্য কাউকে রাখতে পরিনাই বলে যেতে পারছিনা। আমি এবং আমারা ওর কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়েআছি, ভয়ে কাউকে বলতে পারি না”।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment