স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১০টার দিকে নিজ বাসায় শয়ন কক্ষে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এর মধ্যে রাত ২টার দিকে একটি বিষাক্ত সাপ লেপের কাপড় ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়ে। সাপের উপর পায়ের চাপ পড়লে বাম পায়ে ছোবল মারে। এতে তাৎক্ষনিক চিৎকার করতে থাকে লালপারজাম বম। সবাই ঘুম থেকে জেগে কাপড় তুলতে গিয়ে পায়ে নীচে কালো রংয়ের সাপটিকে দেখতে পায়। তখনক্ষণে ওই মহিলাটি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পাড়াবাসী ও প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় ভোরে চিকিৎসার জন্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে সাপের কামড়ে চিকিৎসার কোনো ওষুধ পত্রের ব্যবস্থা না থাকায় জেলা সদরে নিতে বাধ্য হয়।
ইউপির স্থানীয় মেম্বার লালরামচন বম জানান, লালপারজাম বম বান্দরবান সদরে পৌছাঁর আগে পথে সকাল ১০টার দিকে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তার স্বামীসহ এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তার অকাল মৃত্যুতে বেথেল পাড়াবাসী ও আত্মীয়স্বজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বেথেল পাড়াবাসিন্দা লালথান বম অভিযোগ করে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়েও সাপের কামড়ের নিরাময় ওষুধপত্র নেই।এটা সত্যি রীতিমত অবাক করে দিয়েছে সবাইকে । হাসপাতালের এ অব্যবস্থাপনা কারণে এই মহিলাকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্ত্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বামংপ্রু মারমা জানান, আগে বিষাক্ত সাপের কামড়ে নিরাময় ওষুধ সংরক্ষণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংরক্ষণ ছিলনা। তবে এখন থেকে এই ওষুধ সংক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment