রুমায় পাহাড় ধস: লাশের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি


রুমা সড়কের ওয়াইজংশন এলাকায় পাহাড় ধসে অন্যান্যদের সাথে নিখোঁজ হয় স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কর্মী মুন্নি বড়ুয়া। সকালে বাড়িতে তার ৮ বছরের ছোট মেয়েকে রেখে বাসে করে রুমা উপজেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন মুন্নি। ঘটনার খবর বাসায় পৌঁছলে কান্নার রোল পড়ে যায়। ছোট মেয়ে খুঁজে ফিরছে তার মাকে। মেয়ে জানে না তার মা এখন কোথায়।
মুন্নি বড়ুয়ার ভাই ছোটন জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যেই লাশে জন্য ঘটনাস্থলে অপেক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু পরনে জামার কাপড় ও হাতের ব্যাগটি ছাড়া বোন মুন্নিকে পাওয়া যায়নি।
রুমায় পাহাড় ধস: লাশের খোঁজে স্বজনদের আহাজারি
শুধু মুন্নির পরিবারেই নয় নিখোঁজ স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে রুমা সড়কের ওয়াই জংশনে। সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যেই স্বজনরা খুঁজে ফিরছে তাদের আপনজনকে। যদি পাওয়া যায় লাশটি। রুমা সদরের মংশৈ প্রু কারবারী পাড়ার ঐ কারবারীর দুই মেয়ে সিমোচিং মারমা ও চিমেহ্লা মারমা বান্দরবান থেকে বাসে করে রুমায় যাচ্ছিল। পথে পাহাড় ধসে পড়লে নিখোঁজ হয় দুই বোন। তবে দুপুরে মাটি চাপা পরা চিমেহ্লা মারমার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ রয়েছে ছোট বোন সিমোচিং মারমা। তাদের মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা আহাজারিতে সেখানে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
গতকাল রোববার ১০ সকাল টার দিকে বান্দরবান রুমা সড়কের ২২ কিলোমিটার এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধসে পরলে কমপক্ষে ৫ জন নিখোঁজ হয়। এদের মধ্যে ১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাস থেকে নেমে সড়কের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পায়ে হেটে পার হওয়ার সময় বৃষ্টির মধ্যে তাদের উপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়লে এ ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকায় এখনো ৫ থেকে ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। এদের মধ্যে রুমা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মী মুন্নি বড়ুয়া, উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার জবিউল আলম, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা গৌতম নন্দি ও রুমার মংশৈ প্রু কারবারীর মেয়ে সিমোচিং এর নাম পাওয়া গেছে। এদিকে রোববার বিকেলে বৃষ্টির কারণে উদ্ধার তৎপরতা বাতিল করা হয়। সোমবার সকাল থেকে বড় পরিসরে পুনরায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
mongsai79@gmail.com

Comments