মেয়েটির বয়স তখন মাত্র ৮ বছর। সেই সময় তার পরিচিত এক ২৮ বছরের যুবক তার সঙ্গে চরম অভব্যতা করেছিল। মেয়েটির গোপনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ ঘষা, কিংবা যৌন আচরণে তাকে বাধ্য করার মতো আচরণ প্রায়শই তার সঙ্গে করত সেই যুবক। তার ধারণা ছিল, মেয়েটি যেহেতু নাবালিকা, অতএব তার অপকর্ম চিরকাল অপ্রকাশিতই থেকে যাবে। কিন্তু মেয়েটির পরিকল্পনা ছিল অন্যরকম। সে মনে মনে স্থির করে নিয়েছিল, তার শ্লীলতাহানি করেছে যে, তাকে তার প্রাপ্য শাস্তি সে দেবেই। আমেরিকার ওয়াশিংটনের সেই সাহসিনীর অভিনব শাস্তি প্রদানের কথা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম মারফৎ প্রকাশ্যে এসেছে।
যে সময় তার সঙ্গে অভব্যতার ঘটনা ঘটে, সেই সময় মেয়েটির বয়স মাত্র ৮ বছর হলেও, ধর্ষকের চেহারা ও নাম (জোসেফ চেইসন) মনে রেখেছিল সে। এবং কখনওই জোসেফকে নিজের নাগালের একেবারে বাইরে যেতে দেয়নি সে। দূর থেকে হলেও, সে নজর রেখে গিয়েছে লোকটার উপর, এবং অপেক্ষা করেছে উপযুক্ত সুযোগের জন্য। শেষ পর্যন্ত মেয়েটির বয়স যখন বছর সাতাশে পৌঁছয় তখন মিলে যায় সুযোগ। ফোনে সে জোসেফের সঙ্গে আলাপ জমায়। জোসেফ ততদিনে ৪৭ বছরের প্রায়-প্রৌঢ়। ২০ বছর আগে যে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেছিল সে, তার সঙ্গেই যে এতদিন পরে আবার আলাপ হতে পারে, তা ভাবতেও পারেনি জোসেফ।
ফোনালাপ একটু ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরে একদিন সামনাসামনি জোসেফের সঙ্গে দেখা করেন তরুণী। বলা বাহুল্য, মেয়েটিকে চিনতে পারেনি জোসেফ। তরুণী প্রেমের অছিলায় প্রচুর মদ্যপান করান জোসেফকে। জোসেফ যখন মদ্যপান করে প্রায় বাহ্যজ্ঞানরহিত তখনই বহুকাল পূর্বে তার কৃতকর্মের কথা পাড়েন তরুণী। জোসেফ নেশার ঘোরে সব কথা স্বীকারও করে নেয়। সে জানত না যে, তার সঙ্গে দেখা করার আগে নিজের ব্রা-এর ভিতর একটি টেপ রেকর্ডার লুকিয়ে এনেছেন তরুণী। এবং তার সমস্ত স্বীকারোক্তি রেকর্ড হয়ে গিয়েছে।
তরুণীর পরবর্তী কাজ অত্যন্ত সহজ ছিল। নিজের সংগ্রহ করা অডিও টেপটি নিয়ে তিনি হাজির হন ম্যাকলেনান কাউন্টি শেরিফ-এর অফিসে। গ্রেফতার হয় জোসেফ। কোর্টে মামলা উঠলে ওই অডিও টেপটি পেশ করা হয় জোসেফের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে। জোসেফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে কোর্ট। সূত্র:এবেলা
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment