জুম্ম সমাজ যতই কট্টর হোক, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে বোধহয় পাহাড়ী বাঙ্গালীর ক্রস প্রেম অনেক বেড়ে গেছে।
পৃথিবীর সব দেশের সব জায়গায় কম বেশি ক্রস প্রেম এবং ক্রস বিয়ে হয়! এসব প্রেম বা বিয়ে সহজে ঠেকানোও যায় না। কোনো কোনো দেশে তো এটা খুবই স্বাভাবিক। সেদিক থেকে পাহাড়ী বাঙ্গালী বিয়েও হয়তো খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। তবে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। প্রথমত, পাহাড়ীদের বাঙ্গালী বিয়ে করতে চাইলে কনভার্ট হতে হয়। দ্বিতীয়ত, এসব বিয়ে একদম একতরফা এবং ভারসাম্যহীন! মানে পাহাড়ী ছেলেদের বাঙ্গালী মেয়ে বিয়ে করার চাইতে পাহাড়ী মেয়েদের বাঙ্গালী ছেলে বিয়ে করার প্রবণতা অনেক বেশি! তৃতীয়ত, বাঙ্গালী বিয়ে করা অধিকাংশ পাহাড়ী মেয়েই হয়তো লাশ হয়ে ঘরে ফিরে নয়তো নির্যাতিত হয়ে। প্রকৃতপক্ষে, এসবই পাহাড়ীদের জন্য অভিশাপ! এ অভিশাপের ক্ষতিকর প্রভাব পাহাড়ী না হলে অন্য কেউ সহজে বুঝার কথা নয়!
পরস্পর শোনা কথাঃ
ঢাকায় ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়া কোনো এক বাঙ্গালী ছেলের মতে, পাহাড়ী মেয়েদের সাথে প্রেম করা, রাত কাটানো আর বিয়ে করা নাকি খুবই সহজ। একসাথে কিছু টাকা ইনভেস্ট করলেই হয়। আর ডিভোর্স দেওয়া নাকি আরো সহজ! ভালো না লাগলে দুয়েকটা খিল ঘুষি দিলেই মেয়ে চলে যায় ডাইরেক্ট বাপের বাড়ি!
ঢাকায় ইউনির্ভাসিটিতে পড়ুয়া কোনো এক বাঙ্গালী ছেলের মতে, পাহাড়ী মেয়েদের সাথে প্রেম করা, রাত কাটানো আর বিয়ে করা নাকি খুবই সহজ। একসাথে কিছু টাকা ইনভেস্ট করলেই হয়। আর ডিভোর্স দেওয়া নাকি আরো সহজ! ভালো না লাগলে দুয়েকটা খিল ঘুষি দিলেই মেয়ে চলে যায় ডাইরেক্ট বাপের বাড়ি!
বাস্তবতা হচ্ছেঃ
এসব অসম প্রেম/বিয়ে জোর করে বা নির্যাতন করে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। অন্তত অতীত ইতিহাস তা'ই বলে! আমি মনে করি, এজন্য প্রথমত, অভিভাবকদের আবেগে অন্ধ না হয়ে মেয়ে ও সমাজের স্বার্থে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, জুম্ম ছেলেদের বোতল মার্কা, জুয়া মার্কা, বাবা মার্কার তথাকথিত রঙিন জীবন ত্যাগ করে যতটুকু সম্ভব স্মার্ট ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বুদ্ধি-বিদ্যায় সচেতন হয়ে অর্থ-বিত্ততে মনোযোগী হতে হবে এবং সেইসাথে মেয়ে পটানোর জন্য লুচ্চ্যা (অনেকের হয়তো শুনতে খারাপ লাগতে পারে, মাপ করবেন) হতে হবে! তৃতীয়ত, সময় থাকতেই মেয়েদের বাধ্যতামূলক কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
এসব অসম প্রেম/বিয়ে জোর করে বা নির্যাতন করে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। অন্তত অতীত ইতিহাস তা'ই বলে! আমি মনে করি, এজন্য প্রথমত, অভিভাবকদের আবেগে অন্ধ না হয়ে মেয়ে ও সমাজের স্বার্থে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, জুম্ম ছেলেদের বোতল মার্কা, জুয়া মার্কা, বাবা মার্কার তথাকথিত রঙিন জীবন ত্যাগ করে যতটুকু সম্ভব স্মার্ট ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে বুদ্ধি-বিদ্যায় সচেতন হয়ে অর্থ-বিত্ততে মনোযোগী হতে হবে এবং সেইসাথে মেয়ে পটানোর জন্য লুচ্চ্যা (অনেকের হয়তো শুনতে খারাপ লাগতে পারে, মাপ করবেন) হতে হবে! তৃতীয়ত, সময় থাকতেই মেয়েদের বাধ্যতামূলক কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।
শেষকথাঃ
এখনই এসবের সুস্থ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে না পারলে সমাজ দিন দিন আরো অসুস্থ হয়ে পড়বে! তাই যারা গেছে তাদের কথা চিন্তা না করে যারা আছে তাদের নিয়ে ভাবা দরকার যেন বিলুপ্ত প্রায় জুম্ম অস্তিত্ব কিছুদিনের জন্য হলেও দীর্ঘায়িত হয়!
এখনই এসবের সুস্থ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে না পারলে সমাজ দিন দিন আরো অসুস্থ হয়ে পড়বে! তাই যারা গেছে তাদের কথা চিন্তা না করে যারা আছে তাদের নিয়ে ভাবা দরকার যেন বিলুপ্ত প্রায় জুম্ম অস্তিত্ব কিছুদিনের জন্য হলেও দীর্ঘায়িত হয়!
বি.দ্রঃ জুম্মরা জনসংখ্যায় অন্তত পঞ্চাশ লক্ষ হলেও এসব কিছুই বলতাম না।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment