প্রেম করে সেটেলার বিয়ে করার পর পাষণ্ড স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক আদিবাসী নারীর আত্মহত্যা


আসেন ভাই-ব্রেদার, সিস্টার-মিস্টার এইবার পিচ্চি পোলাপানদের মতন ছবি দেখে দেখে বাল্যশিক্ষা পাঠ করিঃ
প্রথম ছবিটা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায়, প্রেম করে সেটেলার বিয়ে করার পর পাষণ্ড স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এক আদিবাসী নারীর আত্মহত্যা করার ছবি। অবশ্য খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে তর্ক রয়েছে।
দ্বিতীয় ছবিটা শহুরে লালনীল পরিবেশে বেড়ে উঠা ঢাকার বাসাবো এলাকার এক চাকমা তরুণীর। বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়ে ভিনজাতির বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিভ টুগেদার করার কিছুদিন পরে আত্মহত্যা করে গত কয়েকমাস আগে।
তৃতীয় ছবিটা সম্প্রতি আলোচিত হওয়া এক আদিবাসী নারীর লাশ যে গার্মেন্টসের চাকুরীর সুবাদে প্রেমে পড়ে বিয়ে করে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে লাশ হয়ে।
নতুন যোগ করা ৪র্থ ছবিটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী ছাত্রী হিলারী তালুকদারের। ছবিতে তাকে তার বেজাতির বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা যাচ্ছে। ইদানীং অভিযোগ উঠেছে যে বয়ফ্রেন্ড কর্তৃক অপহৃত হয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হিলারী তালুকদারের বাড়ি রাঙ্গামাটির কল্যানপুরে বলে জানা গেছে।
তারও অনেক বছর আগে মিতা চাকমা, সবিতা চাকমা সহ আছে আরো অনেকের নাম।
আমি/আমরা বাঙালী বিদ্ধেষী নই, কিন্তু আমাদের বোনেরা শহর কিংবা গ্রামে এভাবে পদে পদে যে প্রতারনার শিকার হচ্ছে তা কিন্তু আমাদের সবাইকে পীড়া দেয়। আমরা গালি দিই, অকাথ্য বিশ্রী ভাষায় তর্ক করি কিন্তু আমাদের বোনেরা মরে গেলে লাশটা যে ঠিকই আমাদের কাধে নিতে হয়। অশ্রুর ফোটাটা ভাইয়ের চোখ হতেই কিন্তু বাইর হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের বোনেরা এসব দেখে কি সতর্ক হচ্ছে?
আমার ফ্রেন্ডলিস্টে এরকম কয়েকজন বোন আছে, যারা সীমানা পার হওয়ার দড়িটা ছুই ছুই করেও তা পার হবে নাকি হবে না এরকম চিন্তা ভাবনা করছে, তাদের উপকারে আসতে পারে মনে করে এইটা পোস্টাইলাম।
(আগে অনেককে রাগ করে গালি দিয়ে অনেক কিছু বলেছি, এইবার না হয় একটু বাস্তবতা দেখিয়ে কিছু বললাম)
mongsai79@gmail.com

Comments