- Get link
- X
- Other Apps
মোঃ হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, ক্রাইম রিপোর্টারঃ চলমান বৈসম্যের রোহিঙ্গা ইস্যুর প্রভাব বিস্তার, মাছের ঘের জোরযবর দখল করে মাছ চাষসহ একটি রাখাইন পরিবার জীবন হাড়ানোর আতংকে রয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার ৪নং মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মেলাপাড়া গ্রামের মংচোনান রাখাইনের কন্যা খেনচিন (১৮) ২৩ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টার দিকে ক্যামেরার সামনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেণ। একওই গ্রামের কাজেম আলী হাওলাদারের পুত্র বেলায়েত হোসেন ও সোনামিয়ার পুত্র জালাল মিয়া ওই পরিবারের মাছের ঘের যোরজবর দখল করে বর্তমানে মাছ চাষ করছে। মাছের ঘেরে ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে। অভিযুক্তরা অশ্লীল আচরণ করে করে ইস্যু তৈরী করে। প্রতিউত্তর করতে গেলেই ইজ্জৎ কেড়া নেয়াসহ জীবন হারানোর জীবন বিপন্নের হুমকী দিচ্ছে। ইজ্জৎ ও জীবন রক্ষার তাগিদে বর্তমানে তারা বাকরুদ্ধ। বরিশাল বর্জমোহন কলেজের শিক্ষার্থী সারনী রাখাইন বলেন, অভিযুক্তরা সমাজে প্রভাবশালী না হলেও পেছনের কালো শক্তি তাদের উপর ভর করছে, ফলে শুধু ভূমি দস্যুতাই নয়, চলমান পথে ইপটিজিং অব্যহত রেখেছে। মংচিং রাখাইনের কন্যা চান সে জানিয়েছেন, ক্যামেরার সামনে কথা বললে পরবর্তীতে ওরা দেখতে পেলে বা জানতে পারলে তাদের উপরও হামলা দেয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ ওরা চড়ম খাড়াপ। ছোট-বড় বা বাবা-মা কাউকে মানছেনা এমনকি তাদের মানসম্মান বোধ নেই। কুরুচিপূর্ন ভাষায় বিরামহীন বকাবকী ওই পাড়ার শান্তি কেড়ে নিয়েছে। মংচোনান রাখাইন বলেন, অভিযুক্ত জালাল ও বেলায়েত তাদের জমাজমি যোরজবর দখল করে মাছ চাষ করে সুবিধা ভোগ করছে আর তারা নিজেদের জমি হওয়া সত্তেও ভোগ দখল করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন চলছে। জন-জনতাহীন ও সংখ্যালঘুদের মানবেতর জীবন টুকুও হারানোর আতংকে আছেন তারা। এমতাবস্তায় বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষনের মধ্যদিয়ে সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক ভাবে আহবান জানান। মেলা পাড়া গ্রামে মাত্র ছোট খাটো ৫টি রাখাইন পরিবারে সর্বোচ্চ ২০-২৫ জন মানুষ বসবাস রত। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তি রুহুল আমিন বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে অভিযুক্তদের বিচার হওয়া উচিৎ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত বেলায়েত মিয়ার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment