বান্দরবানে জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৫ নেতাকর্মী জেলহাজতে

 বান্দরবানে জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৫ নেতাকর্মী জেলহাজতে
বান্দরবানে চাঁদাবাজি ও অপহরণ মামলায় জনসংহতি সমিতি ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ১৫ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলার ১৮ জন আসামি জামিন নিতে গেলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
.
গত ১৬ নভেম্বর রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী বাজারের কাছে চাঁদার দাবিতে মোটরসাইকেল চালক মোঃ আলিমের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় জনসংহতি সমিতি ও অঙ্গসংগঠনের ১৮ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। আসামিদের মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জলিমং মারমা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াই চিং মারমা, নুয়াপতং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্ভু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার সহসভাপতি চিংহ্লা মং চাকমা, মৌজা হেডম্যান মংপু মারমা, যুব সমিতির সভাপতি মস্তু মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অজিত তঞ্চঙ্গ্যা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা উবাচিং মারমা ও পাস্মেন বম রয়েছেন। রোববার মামলার আসামিরা জামিন নিতে গেলে আদালত আসামিদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা, অংথোয়িাই চিং মারমা ও নুয়াপতং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সম্বু কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে জামিন দিয়ে বাকিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিকেলে আদালত থেকে আসামিদের কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুন মাসে আওয়ামী লীগের সদর উপজেলার নেতা মংপু অপহরণের ঘটনায় জনসংহতি সমিতি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মীকে সন্ত্রাস দমন, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ চারটি মামলায় আসামি করা হয়। এসব মামলায় নেতাকর্মীরা জামিনে থাকলেও নতুন করে চাঁদাবাজি নিয়ে তাইংখালীতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় সংগঠনের ১৮ নেতা কর্মীকে আসামি করে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Source মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments