সরকার সংবিধানে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের বাঙালী করেছে: সন্তু লারমা

সন্তু লারমা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকার সংবিধানে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের বাঙালী করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের রয়েছে নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জীবন ধারা। তা পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে স্বীকৃতি লাভ করেছে। যা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু সংবিধানে এ পরিচয়কে বাঙালীকরণ করা হয়ছে। তাছাড়া পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর পার্বত্যাঞ্চলকে উপজাতীয় অধ্যুষিত অঞ্চলের হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকার তা বাস্তবায়ন ও কার্যকর করেনি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী দ্বিতীয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী লেখক সম্মেলনে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
ঢাকার জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহমেদ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এসময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের লেখক ক্রায়োরি মং চৌধুরী, লেখক প্রভাংশু ত্রিপুরা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গবেষক শিশির চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা আরও বলেন, পার্বত্যাঞ্চলের সমস্য সমাধাণ করার জন্য চুক্তি করা হয়েছে। কিন্তু এ অঞ্চলের আসল সমস্য এখনো বাসবায়নের মুখ দেখেনি।একটা সময় পার্বত্যাঞ্চলে সল্প উপজাতি ছিল।  তা আমরা বিটিশ আমলে মেনে নিয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন এ অঞ্চলে বসবাসরত ১৪টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে।  যারা তাদের নিজস্ব জীবন ধায় থাকতে চাই। চুক্তিতেও তাদের পুর্ণ অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শাসক গোষ্ঠী চুক্তি করেও তাদের সে অধিকার ফিরিয়ে দেয়নি। তিনি পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অস্থিত ধরে রাখতে সকল জাতিগোষ্ঠীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
রাঙামাটিতে দুই দিনব্যাপী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী লেখক সম্মেলনে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি বান্দরবানসহ ত্রিপুরা রাজ্যের ২শতাধিক লেখক ও কবি যোগ দিয়েছেন।

Comments