- Get link
- X
- Other Apps
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালে ৮৫ দিন ছুটি অনুমোদন করেছে সরকার।
RELATED FILES
- বিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের ছুটির তালিকা
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার এসব বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনুমোদন দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে মোট ছুটি ৮৫ দিন। সরকার যেসব দিন সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করবে সেসব দিন এই ৮৫ দিনের অন্তর্ভুক্ত হবে।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, ৬ থেকে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে অর্ধ-বার্ষিক বা প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৫ অগাস্ট ফল প্রকাশ করতে হবে। আর ১১ থেকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে তার ফলাফল ৫ নভেম্বর প্রকাশ করতে হবে।
এছাড়া ২৮ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ করতে হবে। ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। কোনো পরীক্ষার সময়কাল ১৪ দিনের বেশি হবে না।
শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী, পাবলিক পরীক্ষা ছাড়া অন্য সব পরীক্ষার প্রশ্ন নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রণয়ন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রশ্ন কিনে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে আগে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হবে।
“কোনো সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না। সংবর্ধনা বা পরিদর্শন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ করা যাবে না। সংবর্ধিত বা পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।”
ছুটির সময়ে ভর্তি ও অন্যান্য পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে। উপবৃত্তি, ভর্তি পরীক্ষা, প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি পরীক্ষার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখতে হবে।
প্রত্যেক বিদ্যালয়কে ‘দৈনিক পাঠের বিবরণী’ নামে ডায়েরি ছাপিয়ে তা শিক্ষার্থীদের দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষাপঞ্জিতে বলা হয়েছে, ওই ডায়েরিতে শিক্ষার্থী পরিচিতি, অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ, শিক্ষার্থীদের আচরণবিধি, শিক্ষকদের নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার জরুরি নির্দেশাবলী, ছুটির তালিকা এবং ক্লাস রুটিন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই সব দিবসের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সবগুলো বিদ্যালয়কে সরকার ঘোষিত সূচি অনুযায়ী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ দিবস এবং শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতেও শিক্ষাপঞ্জিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment