যেখানে মেসি-রোনালদো সমানে সমান

গোল সংখ্যায় মেসি-রোনালদোকে আলাদা করা যাচ্ছে না ছয় বছর পরেও! ছবি: রয়টার্স।গোল সংখ্যায় মেসি-রোনালদোকে আলাদা করা যাচ্ছে না ছয় বছর পরেও! ছবি: রয়টার্স।চায়ের কাপে তো অনেক ঝড় উঠল। অনেক তর্ক-বিতর্ক হলো এ দুজনকে নিয়ে। কে সেরা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, না লিওনেল মেসি? প্রশ্নটার উত্তর এখনো দেওয়া সম্ভব নয়। লা লিগার পরিসংখ্যানও বলছে, এ দুজনকে আলাদা করবার উপায় নেই। ২০০৯ সালের পর থেকে স্প্যানিশ লিগে মেসি-রোনালদোর গোল একদম কাঁটায় কাঁটায় ২৭০! 
২০০৯-১০ মৌসুমে সে সময়ের রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসেন রোনালদো। আর মেসি তো আগে থেকেই ছিলেন বার্সেলোনায়। সময়ের সেরা দুই খেলোয়াড় পরস্পরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পেয়েই জ্বলে উঠলেন। এর আগেই বিশ্ব মাতালেও গোলের সামনে সেভাবে ‘খুনে মেজাজে’ দেখা যায়নি মেসিকে। আর রোনালদোকে পেয়েই সে মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়েছিলেন বার্সা ফরোয়ার্ড। রোনালদোও পাল্লা দিয়ে পরের মৌসুমে জিতে নিলেন পিচিচি ট্রফি। পরের চার মৌসুমেও দুবার করে লিগের সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হয়েছেন এ দুজন। 
এভাবেই বছরের পর বছর গোলবন্যা বইয়ে দেওয়ার পর ২০১৬ সাল যখন শেষ হচ্ছে, তখন গুনতে গিয়ে দেখা গেল দুজনের গোল ঠিক ২৭০! তবে ম্যাচ সংখ্যায় এগিয়ে আছেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। ২৭০ গোল করতে রোনালদোর লেগেছে ২৪৭ ম্যাচ, আর মেসির দরকার হয়েছে ২৫২ ম্যাচ। তবে মিনিটের হিসাবে এতটা পিছিয়ে নেই মেসি। লিগে ২১ হাজার ২০৬ মিনিট খেলেছেন রোনালদো, আর মেসি মাঠে ছিলেন ২১ হাজার ২১৮ মিনিট। 
আর গোলে শট নেওয়াতে এগিয়ে রোনালদোই। ১ হাজার ৩৪৮ বার গোলে শট নিয়েছেন পর্তুগিজ অধিনায়ক, মেসির শট সংখ্যা অনেক কম, ৯৫৩টি। অর্থাৎ ২৮.৩৩ শতাংশ শটেই গোল মেসির, সে তুলনায় রোনালদো ২০.০৩ শতাংশ শটে গোল পেয়েছেন। 
গোলে সহায়তায় অবশ্য এগিয়ে আছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। সতীর্থদের দিয়ে ১০৪টি গোল করিয়েছেন মেসি, রোনালদো ৭৮টি। সূত্র: ডেইলি মেইল।

Comments