রড লাথামের টেস্ট ক্যারিয়ার খুব সংক্ষিপ্ত। চারটির বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি। তবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ১৯৯২ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে। পরে ছেলে টমকে ক্রিকেটার বানিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের অপূর্ণতা ঘোচাতে চেয়েছিলেন হয়তো। সেঞ্চুরি পর দুই টেস্ট খেলেই ক্যারিয়ার শেষ, অতৃপ্তি তো থাকবেই।
ছেলে টমও হতাশ করেনি। ক্যারিয়ারের নবম ইনিংসেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন। ওয়াল্টার-রিচার্ড হ্যাডলি এবং কেন-হামিশ রাদারফোর্ডের পর তৃতীয় কিউই বাবা-ছেলে জুটি হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি। আবুধাবির সেই সেঞ্চুরির পর বাবার সঙ্গে খুনসুটির গল্পটা শুনিয়েছিলেন টম। বলেছিলেন, ‘আমার কিন্তু টেস্ট সেঞ্চুরি আছে’—বাবার এই কথা শুনতে শুনতে কান পচে যাওয়ার দশা। এবার বাবাকে পাল্টা জবাব দেওয়া যাবে। টেস্ট সেঞ্চুরি তো আমারও আছে!
বাবাকে ছাপিয়ে গেছেন অনেক আগেই। টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরির পাশে তিন অঙ্কের ইনিংস যোগ করেছেন আরও চারটি। এর মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তো স্পেশাল। বাবার একমাত্র সেঞ্চুরিটি যে মাঠে, সেই বুলাওয়েতেই সেঞ্চুরি করেন টম ল্যাথাম। একই মাঠে বাবা-ছেলের টেস্ট সেঞ্চুরির বিরল কীর্তি।
রড ল্যাথামের ওয়ানডে সেঞ্চুরিও ছিল না। আজ টম পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১৩৭ রানের দুর্দান্ত এই ইনিংস বাবা হ্যাগলির গ্যালারিতে বসে দেখলেন।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment