মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে দ্বন্দ্ব গড়াল আদালতে

আপডেট: 
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রার) মহাসচিব সংগঠনের স্বার্থবিরোধী কাজ করছেন কি না—তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি সপ্তাহে এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সব ব্যবসায়ীর জন্য মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শ্রমবাজার কেন উন্মুক্ত রাখা হবে না—সে বিষয় জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি চলতি বছরের ১০ জুন মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০ জন ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ইউনাইটেড এক্সপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম রিট আবেদনটি করেছিলেন। রিটে অভিযোগ করা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০ জন ব্যবসায়ীর একটি চক্র হয়েছে। এর সঙ্গে বায়রার মহাসচিব জড়িত। এটি বায়রার স্বার্থবিরোধী।
আদালত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠনবিষয়ক পরিচালককে বায়রা মহাসচিবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও মোহাম্মদ সামিউল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমিন সরকার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি চক্র মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য চেষ্টা করেছে বলে রিটে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে এক বছর ধরে ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশই অভিযোগ করেছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুললেও এবার সব ব্যবসায়ীর জন্য সমান সুযোগ থাকছে না। এর বদলে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর কাজ পাচ্ছে। এ জন্য একটি গোপন চুক্তিও হয়েছে।
অবশ্য বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা কোনো সিন্ডিকেটকে উৎসাহিত করছি না। বাংলাদেশ থেকে ৭৪৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দিয়েছি মালয়েশিয়াকে। তারা যাকে ইচ্ছে কাজ দেবে।’

Comments