কেমন আছে বধ্যভূমিগুলো

১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ঢাকার মিরপুর অঞ্চল হয়ে যায় বধ্যভূমি। বিশাল এই এলাকায় এ পর্যন্ত ১০টি বধ্যভূমি শনাক্ত করা গেছে। মিরপুর ১০ নম্বর এলাকার জল্লাদখানা, ১ নম্বর এলাকার রাইনখোলা ও ১২ নম্বরের মুসলিমবাজারে স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। সম্প্রতি তোলা ছবিতে এসব বধ্যভূমির বর্তমান চিত্র তুলে ধরেছেন জাহিদুল করিম ও কমল জোহা খান। 
ছবি :  জাহিদুল করিমমিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে বাংলা অনুষদের পেছনে এই দুটি গাবগাছের নিচে মুক্তিকামী বাঙালিদের হত্যা করত পাকিস্তানি সেনারা।
ছবি :  জাহিদুল করিমমিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজের পেছনে এই লেকের পানিতে মৃতদেহ ফেলত পাকিস্তানি সেনা, বিহারি ও রাজাকাররা। 

ছবি :  জাহিদুল করিমদারুস সালাম থানাসংলগ্ন গোলারটেক এলাকার এই খেলার মাঠে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিদের হত্যা করা হতো।

ছবি :  জাহিদুল করিমদিয়াবাড়ির সিন্নিরটেক এলাকার এই জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিকামী বাঙালিদের হত্যা করে ফেলে দিত পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরেরা।

ছবি :  জাহিদুল করিমসারেংবাড়ি এলাকায় এই টিনশেড তৈরি করা বাড়ির জায়গায় মুক্তিকামী বাঙালিদের হত্যা করে ফেলে রাখা হতো।

ছবি :  কমল জোহা খানরাইনখোলা বধ্যভূমিতে চলে বিয়ে-জন্মদিনের মতো সামাজিক অনুষ্ঠান।

ছবি :  জাহিদুল করিমমিরপুর ১০ নম্বরে জল্লাদখানায় স্থাপিত জাদুঘরে এসে দর্শনার্থীরা জানতে পারছেন ১৯৭১ সালে ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস।

ছবি :  জাহিদুল করিমজল্লাদখানায় চলছে ধোয়া-মোছার কাজ।

ছবি :  জাহিদুল করিমশিয়ালবাড়ির এই জায়গার পাশের বাসিন্দা দাবি করছেন এটি তাঁদের পারিবারিক কবরস্থান। ১৯৭১ সালে এটিই ছিল একটি বধ্যভূমি।
ছবি : কমল জোহা খান 
শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামে মসজিদের ভেতরে একটি পিলারের রং কালো। এই কালো পিলারটির নিচেই ছিল কুয়া, যেখানে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে ফেলে দেওয়া হতো অসংখ্য লাশ।
.
রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বরের কালাপানি পানির ট্যাংকের এই স্থানে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের মরদেহ পড়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান।

Comments