ফিল্ডিং নিয়ে সন্তুষ্ট নন মাশরাফি

মাশরাফির যত আক্ষেপ ফিল্ডিং নিয়ে। ছবি: এএফপিমাশরাফির যত আক্ষেপ ফিল্ডিং নিয়ে। ছবি: এএফপি
কঠিন চ্যালেঞ্জ, কঠিন কন্ডিশন, প্রত্যাশার চাপ—শব্দগুলো মাশরাফিদের কানে বিরতিহীন বেজে গেছে। হয়তো এই কারণেই সত্যি সত্যিই বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল! প্রথম ওয়ানডের ফিল্ডিং কি তারই ইঙ্গিত দিল? চাপ-টাপ বোঝেন না, কিন্তু যে ফিল্ডিং হলো তা নিয়ে মানতে পারছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এত বাজে ফিল্ডিং না করলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হলেও হতে পারত বলে মনে করেন তিনি।
ক্রাইস্টচার্চে আজ প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ফিল্ডিংটা সত্যিই বেশ ঢিলেঢালা ছিল। তিনটি ক্যাচও ফেলেছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। সাকিব আল হাসানের বলে নিল ব্রুমের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদউল্লাহ। মাশরাফির বলে উইকেটের পেছনে টম ল্যাথাম ক্যাচ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। যদিও ক্যাচটি কঠিন ছিল, কিন্তু সেই ক্যাচটিই নিতে পারলে ১১৫ রানে ফিরে যেতেন ল্যাথাম। সে ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের রানটাও কম হতে পারত। পরে তিনি করেছেন ম্যাচ সর্বোচ্চ ১৩৭ রান। মিডউইকেটে সাকিবের বলে কলিন মানরোর ক্যাচ ছাড়েন মোসাদ্দেক হোসেন।
ওয়ানডেতে ল্যাথামের ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস আর মানরোর ৬১ বলে ৮৭ রানেই ম্যাচটি বেরিয়ে যায় বাংলাদেশের নাগাল থেকে। নিউজিল্যান্ডকে তিন শর আশপাশে বেঁধে রাখতে পারলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমরা ফিল্ডিংয়ে একটু ঢিলেঢালা ছিলাম। আমরা জানতাম এখানে তিন শর বেশি রান হবেই। আমরা যদি বোলিং-ফিল্ডিং মিলিয়ে ৪০-৫০টা রান কম দিতাম তাহলে দ্রুত দুই-তিনটি উইকেট পড়ার পরও আমাদের সুযোগ থাকত।’
বাংলাদেশের সেই সুযোগটা কেমন হতে পারত? শুনুন মাশরাফির কণ্ঠেই, ‘আসলে আমি ফিল্ডিংয়ের কথাই বলব। এখানে আমরা ৪০-৫০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। এর কারণেই সমস্যা হয়েছে। ৩৪০ চেজ করা আসলে সব সময়ই কঠিন। আপনাকে সব সময়ই শট খেলতে হবে। তবে রানটা তিন শ বা তার আশপাশে বেঁধে রাখতে পারলে বিষয়টা অন্য রকমও হতে পারত।’

Comments