কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : শীত মৌসুমে পাহাড়, নদী, লেক, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জীবজন্তু, পাখ-পাখালি একটু নিরিবিলি শহর ছেড়ে কিছু দূরে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য প্রকৃতি দেখার জন্য সকল ধরনের মানুষ ছুটছে কাপ্তাইয়ের দিকে। শীত মৌসুমে কাপ্তাইয়ের পর্যটন স্পটগুলো নানা রঙে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। প্রকৃতির নির্মল বাতাসের সাথে প্রকৃতি প্রেমিদের মন ও আনন্দ দোল খাচ্ছে। প্রতিদিন কাপ্তাইয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে ছুটে আসছে প্রকৃতিপ্রেমিরা। মনমুগ্ধকর পাহাড়ের দু’পাশের বুক চিরে বয়ে চলছে কর্ণফুলী নদী দেশের সর্ববৃহৎ কাপ্তাই লেকে। লেকের মধ্যে ছোট ছোট দ্বীপ এবং এ দ্বীপের মধ্যে বসবাস করে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন দেখে মনজুড়ে যাওয়ার মতো। রূপের রাণী কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিন দেখা যায় পর্যটকদের ভিড়। পর্যটন কেন্দ্রের কর্তব্যরত লোকজন জানান, প্রতি শুক্রবার বন্ধের দিন বেশি পর্যটকদের ভিড় হয়ে থাকে। চটগ্রাম থেকে ৪৫ কিঃ মিঃ দূরে যে কোন বাহনযোগে ১ ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে কাপ্তাই আসা যায়। আসার পথে একনজরে দেখা যায় রাশেল এর্ভিযারী পার্ক, কর্ণফুলী পেপার মিল, বিজিবি পিকনিক স্পট, বনশ্রী স্পট, পাহাড়ীকা, পাশে শীতার-রামপাহাড়, দু’নীর বুকচিড়ে কর্ণফুলী নদী বয়ে চলছে। এছাড়া দেখা যায়, ঐতিহ্যবাহী চিংমং বৌদ্ধ মন্দির পাহাড়ীদের মাছা করে টং করে বসবাস, বন বিভাগের ন্যাশলাল পার্ক, সেনাবাহিনীর লেকপ্যারাইস, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নৌ বাহিনী ও জীবতলীর মনমুগ্ধকর পিকনিক স্পট ছাড়া রাস্তার দু’পাশ জুড়ে দেখা মিলবে বানর, বন্যহাতিসহ বিভিন্ন পাখপাখালির সমারোহ। মন শুধু চায় আর একটু থেকে যাই। কিন্তু সব কিছু ফেলে আবার নিজ কর্মস্থলে ছুটে চলার পালা। কাপ্তাই পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে আসা ঢাকা থেকে প্রকৌঃ মাহতাব উদ্দিন, বাছির উল্লা, হাবিব উল্লা ঝন্টু, চটগ্রাম হতে মহরমআলী, মেমাইও মারমা, ডিএম ফয়েজ উল্লাহ, জামাল উদ্দিন রাজু, ফেনী থেকে মিয়া হোসেন বলেন, কাপ্তাই এত সৌন্দর্য যা বিদেশেও নাই। আমাদের বাংলাদেশে এত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে যা চোখে না দেখলে কিছু একটা হারাতাম বেঁচে থাকলে আগামীতে পরিবারের সকলকে নিয়ে কাপ্তাই আসব।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment