শুধু ১টি দুই টাকার কয়েন থেকেই চাইলে আয় করতে পারেন ৪ লাখ টাকা। জেনে নিন কিভাবে. এযুগে একটি দুটাকার কয়েনের কতটুকুই বা দাম? আজকাল এক জন ভিখারিকেও দুটাকার কয়েন ভিক্ষা দিতে গেলে তিনি বোধহয় মুখ ফিরিয়ে চলে যাবেন। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কি, একটি দু’টাকার কয়েনও আপনার সামনে খুলে দিতে পারে তিন লক্ষ টাকা উপার্জনের সুযোগ! শুনে যতই অবাক লাগুক না কেন, অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষ বি চন্দ্রশেখর এমনই এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন।
বি চন্দ্রশেখরের একটি ভিন্টেজ কয়েনের দোকান চালান। হায়দ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড তেলুগু কনফারেন্সের অফিসের সামনে রাস্তার ধারে ছোট্ট দোকান চন্দ্রশেখরের। পুরনো কয়েন বিক্রি হয় সেই দোকান থেকে। তেলুগু কনফারেন্সের অফিসে সারা দিনই লোকজনের যাতায়াত লেগেই থাকে। তাঁদের মধ্যেই উৎসাহী লোকজনেরা উঁকিঝুঁকি মারেন চন্দ্রশেখরের দোকানে। যাঁরা পুরনো কয়েন সংগ্রহ করতে আগ্রহী, তাঁরা পছন্দমতো কয়েন কিনে নিয়ে যান চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে। যা রোজগার হয়, তাতেই সংসার চলে যায় চন্দ্রশেখরের।
কিন্তু নিছক সংসার চালানো নয়, পুরনো কয়েন বেচে লাখপতি হয়ে গিয়েছেন চন্দ্রশেখর। এবং যেটা আরও আশ্চর্যের তা হল এই তথ্য যে, কেবল একটি দুটাকার কয়েন তাঁকে তিন লক্ষ টাকা উপার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে। দিন কয়েক আগে একটি দু’টাকার কয়েন তাঁর কাছ থেকে এক জন কিনে নিয়ে গিয়েছেন তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে।
কিন্তু কেন একটি কয়েনের দাম তিন লক্ষ টাকা? কী এমন বিশেষত্ব সেই কয়েনের? আসলে এই বিশেষ দু’ টাকার কয়েনটি তৈরি হয় ১৯৭৩ সালে মুম্বই মিন্টে। মুম্বই মিন্ট ভারতের প্রাচীনতম টাঁকশালগুলির মধ্যে একটি। মুম্বই মিন্টে তৈরি করা মুদ্রায় একটি ডটের আকারে হিরের ছবি খোদাই করা থাকে। ফলে সংগ্রাহকদের কাছে এই ধরনের কয়েনের বিশেষ মূল্য রয়েছে। সেই রকমই কোনও এক উৎসাহী কয়েন সংগ্রাহক এসেছিলেন চন্দ্রশেখরের দোকানে। নিজের সংগ্রহে থেকে যাওয়া এই প্রাচীন কয়েনের দাম যে যথেষ্ট বেশি, তা জানতেন চন্দ্রশেখরও। তিনিও তাই সুযোগ বুঝে চড়া দাম হাঁকেন। দরাদরিতে তিন লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়ে যায় সেই কয়েন। অতএব, কয়েন জমানোর শখ যদি আপনার থাকে, এবং ভাগ্য যদি অনুকূল হয়, তাহলে দু’টাকার কয়েন থেকে লাখপতি হতে পারেন আপনিও।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment