সুপ্রিম কোর্টের আদেশে প্রশাসকশূন্য হওয়ার জোগাড় ভারতীয় ক্রিকেটে। গত ২ জানুয়ারি ভারতের সর্বোচ্চ আদালত ক্রিকেট সংস্কারে গঠিত লোধা কমিশনের সুপারিশে পরিবর্তন এনেছে। এতে করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোর বেশির ভাগ কর্মকর্তাই প্রশাসক হিসেবে যোগ্যতা হারিয়েছেন।
লোধা কমিশন প্রথমে বলেছিল কোনো প্রশাসক বিসিসিআইয়ে ৯ বছরের বেশি প্রশাসনে থাকতে পারবেন না। সব মিলিয়ে কারও দায়িত্ব পালনে ৯ বছর হয়ে গেলে তাঁকে সরে যেতে হবে। এই বছরের হিসাবে সেই ব্যক্তিটির রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার দায়িত্ব পালনের হিসাব ধরা হতো না। কিন্তু আদালত তাঁর সংশোধিত রায়ে বলেছেন, রাজ্য ও বিসিসিআই মিলিয়ে ৯ বছর দায়িত্ব পালন করার পর সেই ব্যক্তি আর থাকতে পারবেন না। এর ফলে কেউ যদি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থায় ৭ বছর দায়িত্ব পালন করে আসেন, তাহলে বিসিসিআইয়ে তিনি আর ২ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না।
আগের সুপারিশে একজন ক্রিকেট প্রশাসক ১৮ বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যেতে পারতেন।
গত মঙ্গলবার ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিসিসিআই প্রধান অনুরাগ ঠাকুর ও সচিব অজয় শিরকেকে বরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে যাঁরা লোধা কমিশনের সুপারিশ মানবে না, তাদেরও বরখাস্ত করা হবে বলে নির্দেশ দেন। এখন দেখা যাচ্ছে, আদালতের রায় মেনে প্রায় বেশির ভাগ ক্রিকেট প্রশাসককেই সরে যেতে হবে। কারণ পদত্যাগ করতে হবে বিসিসিআইয়ের প্রায় সব কর্মকর্তাকে। এঁদের প্রায় সবাই রাজ্য পর্যায়ে দীর্ঘ দিন কাজ করে তবেই বোর্ডে আসতেন। তাঁদের সেই সময় সীমাও তো এখন হিসাব করা হচ্ছে।
রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোর সিনিয়র পদগুলোও খালি হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি ও হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সাবেক অফ স্পিনার আরশাদ আইয়ুব ছাড়া বিসিসিআই ও রাজ্য সংস্থার সব প্রশাসকই ক্রিকেট প্রশাসনে ৯ বছরের বেশি সময় ধরে ছিলেন। সূত্র: পিটিআই।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment