২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩০ কয়েদি


২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সাত বছরে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩০ কয়েদি ফাঁসির দড়ি থেকে রেহাই পেয়েছে। তাদের মধ্যে ২৩ জনকে পুরোপুরি খালাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য সাজাপ্রাপ্ত আরো তিনজনকে একই ক্ষমতাবলে সাজা কমানো হয়েছে। গতকাল বুধবার সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানানো হয়।
এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। তিনি জানতে চান, রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কতজন আসামির সাজা মওকুফ করা হয়েছে? জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বন্দিদের প্রাণভিক্ষার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোট ৩৩ জন আসামি মুক্তি পেয়েছে বা সাজা মওকুফ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, আওয়ামী লীগের গত শাসনামলে ২০০৯ সালে একজন, ২০১০ সালে ২১ জন, ২০১১ সালে তিনজন, ২০১২ সালে তিনজন ফাঁসির আসামি রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা পায়। ২০০৫ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ক্ষমা পেয়েছে দুজন ফাঁসির আসামি। এ ছাড়া বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে দুজন ও ২০০৮ সালে একজনের ফাঁসির দণ্ড মওকুফ করা হয়। প্রাণভিক্ষা পাওয়াদের মধ্যে ২০ জনই নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানায় দায়ের করা বহুল আলোচিত যুবদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ গামা হত্যা মামলার আসামি। দ্রুত বিচার আদালতে তাদের সাজা হয়েছিল।
সংসদে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় মৃত্যুদণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া আসামিরা হলো নাটোরের নলডাঙ্গা থানার রামশার কাজীপুর গ্রামের মোবারক শাহের ছেলে মো. আনিছার রহমান ও তার দুই ছেলে মো. সেন্টু ও মো. ফয়সাল, ফয়েজ শাহের পাঁচ ছেলে এম এ ফিরোজ, ফখরুদ্দিন ফুটু, ফরমাজুল, ফজলুল হক শাহ ও ফারুক শাহ, আসাদ শাহের ছেলে জাহিদুল, আব্বাস আলীর দুই ছেলে আবুল হোসেন ও শাহজাহান আলী, কোড়ন মিস্ত্রীর ছেলে বাদল, কপির মণ্ডলের ছেলে জলিল, জাহিরুল মেম্বার ও তার দুই ছেলে সোহাগ ও সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার শহিদুল্লাহর ছেলে জিন্টু ওরফে মহিউদ্দিন, শাঁখারীবাজারের বিজয় ঘোষের ছেলে মিন্টু ঘোষ, মাদারীপুরের পশ্চিম চিলারচর গ্রামের আলাউদ্দিন চৌকিদারের ছেলে চান মিয়া, রাজশাহীর পুটিয়ার দরবেশপুর গ্রামের বাবলু, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার বকুয়া খাগড়াতলা গ্রামের আব্দুল খালেক, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার খাগাউড়া গ্রামের তালেব উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরের বাঞ্জানগর গ্রামের এ এ তাহেরের ছেলে এইচ এম বিপ্লব, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার আশুতিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে ইসলাম উদ্দিন ওরফে দ্বীন ইসলাম, কুমিল্লার দেবীদ্বারের হোসেনপুর গ্রামের অক্ষয় সাহার ছেলে রাখাল সাহা এবং সিলেটের সাগর দীঘিরপাড় গ্রামের মনি সিংয়ের ছেলে শিমন সিং।

Comments