রেলে নিয়োগ দুর্নীতি মৃধার বিরুদ্ধে আরও ৫ অভিযোগপত্র

ইউসুফ আলী মৃধা
ইউসুফ আলী মৃধাদায়মুক্তি পাওয়া সব কটি মামলাতেই আসামি হচ্ছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইউসুফ আলী মৃধা। আজ বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও পাঁচ মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগপত্র অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অধিকতর তদন্তে ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই বিচারিক আদালতে এসব অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।
যেসব মামলায় মৃধার বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো গুডস সহকারী, সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, কার্পেন্টার, শরীরচর্চা শিক্ষক, কোর্ট ইন্সপেক্টর নিয়োগে অনিয়ম, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে করা মামলা। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড সহকারী পদে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হলে তাঁকে দায়মুক্তি (অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি) দেয় দুদক।

গত বছরের ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহেনূর ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে করা সাত মামলার নথি অধিকতর তদন্তের জন্য দুদকে ফেরত পাঠান। ওই সব মামলায় মৃধাকে অব্যাহতির সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। 
দুদকের সূত্র বলছে, গুডস সহকারী, সিনিয়র ডেটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর, কার্পেন্টার পদে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তিনটির অধিকতর তদন্ত করেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক (বর্তমানে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক) আবদুল আজিজ ভূইয়া। শরীরচর্চা শিক্ষক, কোর্ট ইন্সপেক্টর নিয়োগে অনিয়ম, জালিয়াতির মামলা দুটির তদন্ত করেন উপপরিচালক সৈয়দ আহমেদ। তাঁদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামি হয়েছেন মৃধা।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বাসায় যাওয়ার পথে টাকার বস্তাসহ আটক হন পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ইউসুফ আলী মৃধা। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। মৃধা পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক থাকার সময় রেলের ১৩টি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৯ জন কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তদন্ত শেষে মামলা হয় ১৩টি। এসব মামলার আসামি হওয়ার কারণে ২০১২ সাল থেকে দুই বছর পলাতক ছিলেন ইউসুফ আলী মৃধা। পরে ২০১৪ সালের ৩ মার্চ চট্টগ্রাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে সেদিন থেকে মৃধা কারাগারে রয়েছেন।
mongsai79@gmail.com

Comments