আজহারের ‘হানিমুন’ চলছেই

আজহার কী সাবলীল! ছবি: রয়টার্সআজহার কী সাবলীল! ছবি: রয়টার্সম্যাট রেনশ আর ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরিতে সিডনি টেস্টের প্রথম দিনই বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৬৭ রানে অপরাজিত রেনশ থামলেন ২৯৩ বলে ২০ চারে ১৮৪ রান করে। চতুর্থ টেস্টে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন হ্যান্ডসকম্ব। ততক্ষণে রানের পাহাড়ে গড়ে বসেছে অস্ট্রেলিয়া।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার গড়া ৮ উইকেটে ৫৩৮ রানের জবাবে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল বাজে। চতুর্থ ওভারে হ্যাজলউডের জোড়া আঘাতে ৬ রানে নেই ২ উইকেট। সেটি ভালোমতোই সামাল দিল ইউনিস-আজহারের তৃতীয় উইকেটের ১২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন ইউনিস খান। আর স্বপ্নের ঘোরের মতো ফর্মে থাকা আজহার আলী অপরাজিত ৫৮ রানে।

এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ইনিংসে ১২৭ গড়ে ৩৮২ রান করেছেন আজহার। তিন ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এশীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। অ-অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে তিন সিরিজের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও বেশি দূরে নেই। দূরে নেই যেকোনো সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো পাকিস্তানির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। ১৯৮৩ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে মহসিন খান ৩৯০ রান করেছিলেন, সেটি অবশ্য ৯ ইনিংসে।

এরই মধ্যে সিরিজ ২-০–তে হেরে বসা পাকিস্তান এখনো পিছিয়ে ৪১২ রানে। এই বিশাল পাহাড় ডিঙিয়ে যেতে আজহার-ইউনিসের দিকেই এই মুহূর্তে তাকিয়ে গোটা দল। এই সিরিজের ফল যতটা বাজে দেখাচ্ছে, পাকিস্তান তত খারাপ খেলেনি। দারুণ মুহূর্তগুলো নিমেষেই ধ্বংস করেছে তারা নিজেরাই। এই ভুলের পথেই পাকিস্তান হাঁটবে কি না, কাল বোঝা যাবে।

আজহার বল হাতেও মন্দ করেননি। ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন ৭০ রানে। যেখানে পাকিস্তানের সেরা বোলার ওয়াহাব রিয়াজ ৮৯ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সময় যখন ভালো যায়, কী ভালোই না কাটে!

ইমরান খান ২ উইকেট নিয়েছেন ১১১ রানে। একটি উইকেট পেয়েছেন ইয়াসির শাহ। ইয়াসির বছরটা শেষ করেছিলেন ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করে। শুরু করলেন ‘সেঞ্চুরি’ দিয়ে! মেলবোর্ন টেস্টে ৩ উইকেট পেতে খরচ করেছেন ২০৭ রান। এবার ১টি উইকেট মিলল ১৬৭ রানে! সূত্র: স্টারস্পোর্টস।
mongsai79@gmail.com

Comments