টানা চতুর্থ ফাইনালে বার্সার এক পা

বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলটি আসে মেসির পা থেকে। ছবি: এএফপি।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে চতুর্থবারের মতো কোপা ডেল রে’র ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল বার্সেলোনা। কিন্তু কোচ লুইস এনরিকেকে যেন জয়টা খুব তৃপ্তি দিতে পারছে না। দলে যে মানের খেলোয়াড় আছে, সেটির বিচারে গোলের সুযোগ নষ্ট করাটাই মানতে পারছেন না তিনি। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগেই এই গোল মিসের রোগ থেকে বেরিয়ে আসার তাগাদা তাঁর কণ্ঠে, ‘আমাদের দলে যে মানের খেলোয়াড় আছে, সেটার বিচারে আমাদের সুযোগের সদ্ব্যবহারে আরও যত্নশীল হতে হবে। দ্বিতীয় রাউন্ডটা হতে হবে অন্য রকম।’
লিওনেল মেসি আর লুইস সুয়ারেজের গোলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। পরে আতোয়ান গ্রিজমানের গোলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। তবে মেসি আর নেইমার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। শেষের দিকে অ্যাটলেটিকোর ফার্নান্দো তোরেস আর গ্রিজমান দুটি সুযোগ নষ্ট না করলে বিপদেই পড়ে যেত বার্সেলোনা। 
ম্যাচের সাত মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লুইস সুয়ারেজ প্রায় এক প্রচেষ্টায় এগিয়ে দেন দলকে। মাচেরানোর পাস থেকে প্রায় মধ্যমাঠ থেকে একাই বল টেনে নিয়ে গোলটি করেন এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। অ্যাটলেটিকোর দুই ডিফেন্ডার এগিয়ে এসেও সুয়ারেজকে থামাতে পারেননি। ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট পুরোটাই ছিল বার্সেলোনার। সেই ধারাবাহিকতাতেই ম্যাচের ৩০ মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি।
প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময়ই অ্যাটলেটিকোর সীমানায় খেললেও গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বার্সেলোনা। কোচ এনরিকের মনে খচখচানি এটিই, ‘প্রথমার্ধে পুরোটা সময় আমরা অ্যাটলেটিকোকে চাপিয়ে রাখলাম। সুযোগও তৈরি করলাম ভালো, কিন্তু গোল পেলাম না!’
দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাটলেটিকোর প্রাধান্যতে কিছুটা ভয়ও পেয়ে গিয়েছিলেন এনরিকে, ‘দ্বিতীয়ার্ধে তারা আক্রমণ করেছে। এবং সেই আক্রমণগুলো আমাদের জন্য সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছিল।’
ম্যাচের অন্যতম, সেরা খেলোয়াড় সুয়ারেজও গোলের সংখ্যা না বাড়ায় অখুশি। যদিও দলের জয়ে তৃপ্তি আছে তাঁর, ‘আমরা জানতাম আজ আমাদের গোল করতেই হবে। আমরা দুটা গোল করেছি এবং জিতেছি। কিন্তু শঙ্কা তো এখনো রয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় লেগ তো এখনো বাকি।’ সূত্র: এএফপি।
mongsai79@gmail.com

Comments