নবম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা আগে থেকেই শ্রীলঙ্কার দখলে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও লাসিথ মালিঙ্গা ১৩২ রানের সে রেকর্ড গড়েছিলেন ২০১০ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওয়ানডেতে নবম উইকেটে সেঞ্চুরি জুটি আছে আরও সাতটি। পরশু তাই আসেলা গুনারত্নে ও সুরাঙ্গা লাকমলের ৯৭ রান দক্ষিণ আফ্রিকাকে চমকে দিলেও অভাবনীয় কিছু ছিল না।
ম্যাচের ফল অবশ্য লেখা হয়ে গেছে এর আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৮৪ তাড়া করতে নেমে ১৯৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। গুনারত্নের অপরাজিত ১১৪ রানের ইনিংসটা তাই শুধু ব্যবধানটাই কমিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা আটকাতে পারেননি। সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে ছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু সিরিজের শেষ ম্যাচের আগেই এবি ডি ভিলিয়ার্সরা জানতেন, শ্রীলঙ্কাকে ধবলধোলাই করতে পারলেই শীর্ষে উঠে যাবেন। ৮৮ রানে ম্যাচ জিতে শ্রীলঙ্কাকে সেটাই করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে নিজেদের কাজটা করেছে ডি ভিলিয়ার্সের দল। আর অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে খুইয়ে এসেছে সিরিজ। এতেই নিশ্চিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব হারানো। ধবলধোলাই হয়ে বিপাকে শ্রীলঙ্কাও। ১০১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সিরিজ শুরু করা লঙ্কানদের পয়েন্ট এখন ৯৮। র্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে থাকলেও সাতে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবধানটা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭ পয়েন্টে।
দুই বছর পর র্যাঙ্কিং-শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেয়ে খুশি প্রোটিয়া অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স, ‘ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে আসতে পেরে রোমাঞ্চিত। বিশ্বকাপের পর আমাদের কিছু কঠিন সময় গেছে। আস্তে আস্তে আমরা নিজেদের ফিরে পাচ্ছি। এ বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, জুনে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আছে। সে প্রস্তুতিরই একটা ধাপ হলো র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠা।’
দলের সঙ্গে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছেন ইমরান তাহিরও। সিরিজে ১০ উইকেট পেয়ে ট্রেন্ট বোল্টকে টপকে ওয়ানডের শীর্ষ বোলার এখন এই লেগ স্পিনার। ৪১০ রান করে বড় লাফ দিয়েছেন ফাফ ডু প্লেসিও। সাত ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার-সেরা চতুর্থ স্থানে চলে এসেছেন ডু প্লেসি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment