মালয়েশিয়ার দৈনিক দ্য নিউ স্ট্রেট টাইমস-এর এক খবরে বলা হয়েছে, ত্রাণের জাহাজ নটিক্যাল আলিয়া মিয়ানমারে ত্রাণ বিতরণ শেষে ইয়াঙ্গুন থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, মালয়েশিয়ার ত্রাণ কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর তা আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় বিতরণ করা হবে।
এদিকে গতকাল শনিবার মালয়েশিয়ার দ্য নিউ স্ট্রেইট টাইমস-এর খবরে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে ৫০০ টনের ত্রাণ রোহিঙ্গাদের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই দিন ইয়াঙ্গুনের থিলওয়া নৌবন্দরে মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ ও ত্রাণমন্ত্রী উইন মিয়াট আয়ের কাছে ওই ত্রাণ হস্তান্তর করেন পুতেরা ওয়ানমালয়েশিয়া ক্লাবের সভাপতি ও মালেশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্য আবদেল আজিজ আবদেল রহিম। এরপর জাহাজটি বাংলাদেশের পথে যাত্রা করে।
আবদেল আজিজকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর মালয়েশিয়ার স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রাণ নিয়ে কক্সবাজার যাবেন। সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশে তাঁদের ভিসা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে জটিলতা দূর হবে। এ নিয়ে জানতে চাইলে সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, এই মুহূর্তে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের কক্সবাজারে ত্রাণ বিতরণের অনুমতি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। বন্দরে পৌঁছানোর পর মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের কাছে ত্রাণ হস্তান্তর করবেন।
তুরস্কভিত্তিক তার্কি দিয়ানেত ভাকফি (টিডিভি) ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পুতেরা ওয়ানমালয়েশিয়া ক্লাব ও মালয়েশিয়ান কনসালটেটিভ কাউন্সিল অব ইসলামিক অর্গানাইজেশন (এমএপিআইএম) মিয়ানমারের জন্য জাহাজে করে ত্রাণ সরবরাহের কাজটি করছে। ত্রাণ সরবরাহের জন্য জাহাজটিতে ১৩ দেশের প্রায় ২৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী আছেন। তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও বেসরকারি সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment