জমানো অথবা পেনশনের টাকা ব্যাংকে আমানত হিসেবে রেখে তার সুদ বাবদ আয় দিয়ে সংসার চালাবেন, সেই দিন আর নেই! বছর পাঁচেক আগেও এক লাখ টাকা ব্যাংকে রাখলে সেখান থেকে মাসে হাজার টাকার বেশি সুদ পাওয়া যেত। কারও কাছে টাকা আছে জানলেই ব্যাংকের কর্মকর্তারা গিয়ে হাজির হতেন, যাতে গ্রাহক সেই টাকা তাঁর ব্যাংকে আমানত হিসেবে রাখেন।
আর এখন ব্যাংকগুলো লাখ টাকার বিপরীতে মাসে ৫০০ টাকার বেশি সুদ দিতে চায় না। সঙ্গে থাকে মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ার শর্ত। আর ছোট ও স্বল্পমেয়াদি আমানতকারীদের কোনো কদরই ব্যাংকে নেই।
এ পরিস্থিতিতে সঞ্চয়ী ও জমানো টাকার সুদ আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছে। বছর শেষে দেখা যাচ্ছে, তাদের ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা প্রকৃতপক্ষে কমে গেছে। কেননা ব্যাংকে এখন আমানতের সুদের হার নেমেছে ৫ শতাংশে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতি প্রাক্কলন করেছে সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে এখন ব্যাংকে ১ লাখ টাকা আমানত থাকলে বছর শেষে আপনি ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ঠিকই পাবেন। কিন্তু বাড়তি ৫ হাজার টাকা লাভ হিসেবে ধরলে ভুল করবেন। কারণ, ১ লাখ টাকার সঙ্গে ৫ হাজার যোগ করেও আপনি তখন আগের চেয়ে কম পরিমাণে পণ্য ও সেবা কিনতে পারবেন। মূল্যস্ফীতি এর কারণ।
কিন্তু সঞ্চয়ীরা টাকা নিয়ে কী করবে? তাদের সামনে বিশেষ কোনো বিকল্প নেই। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে সাধারণ মানুষ অভ্যস্ত নয়। সঞ্চয়পত্র কেনার ঝক্কি অনেক। আবার মাসে মাসে বেতন থেকে যাঁরা টাকা জমা রাখেন, তাঁদের জন্য ব্যাংকই সুবিধাজনক। এসব কারণে সুদের হার তলানিতে নামার পরেও ২০১৬ সালেও ব্যাংকের আমানত ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
আমানতের সুদের হার কমিয়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, তাদের হাতে ঋণ দেওয়ার জন্য বিপুল অর্থ আছে, যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য সাধারণ আমানতকারীদের নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আমানতের সুদ হার আর না কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঋণের সুদের হার কমাতে খেলাপি ঋণ কমানোসহ ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।
mongsai79@gmail.com
আর এখন ব্যাংকগুলো লাখ টাকার বিপরীতে মাসে ৫০০ টাকার বেশি সুদ দিতে চায় না। সঙ্গে থাকে মেয়াদ দীর্ঘ হওয়ার শর্ত। আর ছোট ও স্বল্পমেয়াদি আমানতকারীদের কোনো কদরই ব্যাংকে নেই।
এ পরিস্থিতিতে সঞ্চয়ী ও জমানো টাকার সুদ আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো বিপাকে পড়েছে। বছর শেষে দেখা যাচ্ছে, তাদের ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা প্রকৃতপক্ষে কমে গেছে। কেননা ব্যাংকে এখন আমানতের সুদের হার নেমেছে ৫ শতাংশে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকার মূল্যস্ফীতি প্রাক্কলন করেছে সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে এখন ব্যাংকে ১ লাখ টাকা আমানত থাকলে বছর শেষে আপনি ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ঠিকই পাবেন। কিন্তু বাড়তি ৫ হাজার টাকা লাভ হিসেবে ধরলে ভুল করবেন। কারণ, ১ লাখ টাকার সঙ্গে ৫ হাজার যোগ করেও আপনি তখন আগের চেয়ে কম পরিমাণে পণ্য ও সেবা কিনতে পারবেন। মূল্যস্ফীতি এর কারণ।
কিন্তু সঞ্চয়ীরা টাকা নিয়ে কী করবে? তাদের সামনে বিশেষ কোনো বিকল্প নেই। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে টাকা রাখতে সাধারণ মানুষ অভ্যস্ত নয়। সঞ্চয়পত্র কেনার ঝক্কি অনেক। আবার মাসে মাসে বেতন থেকে যাঁরা টাকা জমা রাখেন, তাঁদের জন্য ব্যাংকই সুবিধাজনক। এসব কারণে সুদের হার তলানিতে নামার পরেও ২০১৬ সালেও ব্যাংকের আমানত ১৩ শতাংশ বেড়েছে।
আমানতের সুদের হার কমিয়ে তফসিলি ব্যাংকগুলোর কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কারণ, তাদের হাতে ঋণ দেওয়ার জন্য বিপুল অর্থ আছে, যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য সাধারণ আমানতকারীদের নিয়ে চিন্তিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাদের পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আমানতের সুদ হার আর না কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঋণের সুদের হার কমাতে খেলাপি ঋণ কমানোসহ ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে বলা হয়েছে ওই নির্দেশনায়।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment