রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার কোন পর্যটন কেন্দ্র নয় ধর্মীয় তীর্থ ভূমি

রাঙামাটির প্রাচীন ও শ্রদ্ধা স্থান বনভান্তের রাজবন বৌদ্ধ বিহার। প্রায় প্রতিদিনই এই বিহারে দেখতে আসেন পুণ্যার্থীসহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক। আর পর্যটন মৌসুম হওয়াতে পর্যটকদের পতচারণায় মুখর এ বিহার। ১৯৭৪ সালে শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে) যখন রাঙামাটিতে এসেছিলেন তখন বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করা হয়।
বৌদ্ধ বিহারে রয়েছে উপাসনা বিহার, দেশনালয়, ভিক্ষু সংঘের থাকার ঘর, শ্রমনদের থাকার ঘর, বনভান্তের ধ্যানের গুহা ও লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এই স্থাপনাগুলোর বিভিন্ন কারুকার্যও নজরে আসার মত।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান এই রাজবন বিহার । বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ব্যতিত দূর দূরান্ত থেকে প্রতিদিন ঘুরতে আসে শত শত পর্যটক। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ইদানীং পুণ্যার্থী ছাড়াও দূর দূরান্তে আগত পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমনের ফলে তাদের পক্ষে যেসব নীতিমালা, আচরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে পর্যটন কেন্দ্র সদৃশ তুলনা করে তাদের নিজস্ব নানারকম আপত্তিকর ভঙ্গিমায় ছবি তোলা, ভিডিও করা, ঘোরাঘুরি, চিৎকার, উচ্চ শব্দ-মহাশব্দ, হৈচৈ, যেখানে সেখানে সিগারেট খাওয়া,টুপিমাথায় বিহারে প্রবেশ করা ইত্যাদি আচরনের পরিপ্রেক্ষিতে বিহারের স্থিতিশীল ও শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করা হচ্ছে।
বিহারের ভান্তেরা বলছেন, দুর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী আগত পর্যটক ও দর্শণার্থী অকস্মাৎ এসে ধমীর্য় পবিত্রার নীতি না জেনে অজ্ঞাতে তারা এসব কাজ করে ফেলেন। এতে ধর্মীয় নীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে । কিন্তু কোন আগত পর্যটককে কখনো প্রকাশ্যে গালাগালি করা হয়নি। বিহারে পবিত্রটা বজায় থাকার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা সহ কাগজে ছাপানো তথ্য বিহারে দেয়ালে দেয়ালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে
যেহেতু এটি কোনো পর্যটন কেন্দ্র নয়, ধর্মীয় তীর্থ ভূমি। তাই ধর্মীয় পরিবেশ বজায় রেখে সুস্বভাবযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
mongsai79@gmail.com

Comments